গত ১৯ অক্টোবর মুক্তি পেয়েছে অনম মুখার্জী পরিচালিত ও অভিনেত্রী জয়া আহসান প্রযোজিত ‘দেবী’ ছবিটি। এটি নির্মিত হয়ে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘দেবী’ উপন্যাস অবলম্বনে। সরকারি অনুদানে নির্মিত এ ছবির বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ধুমপানবিরোধী বেসরকারি সংস্থা প্রগতির জন্য জ্ঞান(প্রজ্ঞা)। তাদের অভিযোগ, ছবিটিতে ব্যাপকভাবে ধূমপানের দৃশ্য রয়েছে।
সংস্থাটি থেকে সম্প্রতি দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩)-এর ৫(ঙ) ধারায় সিনেমা, নাটক ও প্রামাণ্যচিত্রে ধূমপান ও অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের দৃশ্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ। কোনো ব্যক্তি এই বিধান লংঘন করলে অনুর্ধ্ব তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডণীয় হবেন। একই ব্যক্তি পুনরায় এই অপরাধ করলে উক্ত দণ্ডের দ্বিগুণ হারে দণ্ডণীয় হবেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আইন অনুসারে ২০১৩ সালের ২ মে পরবর্তী যেকোনো সময়ে বাংলাদেশে প্রস্তুতকৃত সিনেমায় তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের দৃশ্য প্রদর্শন দণ্ডণীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য। অথচ গত ১৯ অক্টোবর (২০১৮) থেকে বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে ‘দেবী’ সিনেমাটির প্রদর্শন শুরু হলেও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের এই সুস্পষ্ট নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, সিনেমাটির পরিবেশক জাজ মাল্টিমিডিয়ার অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে গত ১১ অক্টোবর যে ট্রেইলার মুক্তি দেয়া হয়, তাতেও আইন মানা হয়নি।’
সংস্থাটি বলেছে, জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হু্মায়ূন আহমেদের সৃষ্ট ‘মিসির আলি’ বাংলাদেশের কিশোর-তরুণ পাঠকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এক জনপ্রিয় চরিত্র। ‘দেবী’ সিনেমায় মিসির আলির যেমন চিত্রায়ন হয়েছে, তেমনটা চালু থাকলে মিসির আলির চরিত্র অনুসরণকারী অসংখ্য কিশোর-তরুণ ভক্ত ধূমপানকেও একটি গুণ হিসেবে ধরে নিতে পারে, যা সন্দেহাতীতভাবে বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্যকে চরম ঝুঁকিতে ফেলবে। ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত জাতি গড়ার সুস্পষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগোতে থাকা বাংলাদেশের এখনই দরকার এই বিষয়ে সচেতন হওয়া।