Monday, December 23
Shadow

পুষ্টিগুণে ভরপুর আচার

শত শত বছর ধরে উপমহাদেশে খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দিতে আচার খাওয়ার প্রচলন চলে আসছে। টক, ঝাল, মিষ্টি আচারে মুখরোচক খাবার হিসেবেই পরিচিত। সবজি, মাংসসহ বিভিন্ন ধরনের খাবারের সঙ্গে নানা পদের আচারখাওয়ার প্রবণতা আমাদের প্রায় সবার মধ্যেই আছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, অাচারই শুধু রুচিই বাড়ায় না, পাশাপাশি শরীরের জন্যও বেশ ভালো এটি।

হজমের সমস্যা দূর করে
খাবারের সঙ্গে আমলকীর আচার যদি সব সময় যোগ করেন, তাহলে আপনার হজমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। লবণযুক্ত আচার পেটে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এতে করে অন্ত্রে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ কমে হজম শক্তি বাড়ে।
ভিটামিন সমৃদ্ধ
ফল ও সবজি দিয়ে তৈরি করা আচারে যেমন প্রচুর আঁশ থাকে, তেমনই থাকে ভিটামিন এ এবং সি।

লিভার ভালো রাখে
আমলকীর আচারে বেশ কিছু হেপাটো প্রোঅ্যাকটিভ উপাদান থাকে। এগুলো আমাদের লিভার ভালো রাখে।

মর্নিং সিকনেস দূর করে
প্রেগন্যান্ট হওয়ার পর অনেকেই বেশি বেশি আচার খান। এর বৈজ্ঞানিক কারণও আছে। এ সময় শরীরে অ্যাসিডিটি লেভেল কমাতে ও মর্নিং সিকনেস দূর করতে সাহায্য করে আচার।
বিপাক প্রক্রিয়া বাড়ায়
কমবেশি সব আচারেই ভিনেগার ব্যবহার করা হয়। আর ভিনেগার সমৃদ্ধ আচারশরীরের বিপাক প্রক্রিয়া বাড়াতে সাহায্য।

ওজন ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
ঘরে তৈরি আচারে থাকা প্রোয়োবায়োটিকস অন্ত্রে মাইক্রোবায়োটা সংরক্ষণ করে। আচার শরীরের চর্বি কমায় ও ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই এটি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুব উপযোগী।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আচারে থাকা উপকারি ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের ক্ষতিকর ব্যাকটেরয়িাকে মেরে ফেলে। তাই নিয়মিত আচারখেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ও বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে দূরে থাকা যায়।
তথ্য: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!