Sunday, April 20

করোনাভাইরাসের টিকা আনবে জাপানের অ্যাঞ্জেস, সেটা কবে?

গত ৫ মার্চ থেকে নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ডিএনএ ভ্যাকসিন তৈরির প্রকল্প হাতে নেয় জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যতম ঔষধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি অ্যাঞ্জেস।

ঘরে বসে ছবি আঁকা শিখুক শিশুরা

 মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ভ্যাকসিনটি তৈরির কাজ শেষ হয় বলে গত ২৪ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে জানায় তারা। ওইসময় বলা হয়েছিল, প্রাণীর ওপর ভ্যাকসিনটি পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা শুরু হয়েছে।

একইসঙ্গে গত ১৪ এপ্রিল আরেক বিবৃতিতে অ্যাঞ্জেস জানায়, তারা আগামী জুলাইয়ের মধ্যে হিউম্যান ট্রায়াল শেষ করতে চায়। যারা ইতোমধ্যে ওসাকা সিটি হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য চুক্তি করেছে তাদের এ ট্রায়াল দেওয়া হবে। চুক্তিতে অংশ নেন ওসাকার গর্ভনর হিরোফুমি ইয়োশিমুরা ও মেয়র ইচুরো মাসুই।

জিকিউ জাপান পত্রিকায় প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক রিউচি মরিশিতা বলেছেন, “ইতোমধ্যে আমরা প্রাণীর ওপর ট্রায়ালে করোনাভাইরাসের টিকা প্রয়োগ করেছি। এই ভ্যাকসিন কোষের ভেতর কি পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে তাও নিশ্চিত হয়েছি। এটি সত্যি আশার কথা যে, আমরা সেপ্টেম্বরে হিউম্যান ট্রায়াল শেষ করে এ বছরের মধ্যেই ১০ লাখ মানুষকে টিকা দিতে পারব।”

নভেল করোনাভাইরাসটি যদি মিউটেটেড হয়, তারপরও এই ভ্যাকসিনটি কার্যকর কিনা এমন প্রশ্নে অধ্যাপক মরিশিতা বলেন, সার্স ও মার্স ভাইরাসের স্পাইক (এস) প্রোটিনের সাথে নতুন করোনাভাইরাসের স্পাইকের মিল রয়েছে। এদের জেনেটিক সিকুয়েন্সে মিল থাকায় আমি মনে করি মিউটেটেড নভেল করোনাভাইরাসেও ভ্যাকসিনটি সফল হবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা যদি নভেল করোনাভাইরাসের ওষুধ তৈরিও করে ফেলি তারপরও অনেকেই এ ভাইরাসে আবার আক্রান্ত হচ্ছে। আর তা থেকে মুক্তি পেতে হলে ভ্যাকসিন বা টিকা তৈরি করা জরুরি।

কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী ভাইরাস আরএনএ (রাইবো নিউক্লিক এসিড)। এই ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন (এস) থেকে তৈরি করা হয় এই ডিএনএ ভ্যাকসিন। মূলত এটি এক ধরনের জীবাণু (অ্যান্টিজেন) যা দেহে প্রবেশ করে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। আর যখন করোনাভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে তখন এই অ্যান্টিবডি তা প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।

জাপানের ঔষধ কোম্পানি তাকারা বায়ো এই ভ্যাকসিন বাজারজাত করার দায়িত্ব নিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *