এই গরমের জলখাবার ফলখাবার
গ্রীষ্মের সকালে জলখাবার বা বিকেলে টিফিনে ফর দিয়ে তৈরি কত কী খাবারই না বানানো যায়। আম-দুধ-রুটি-চিড়ে-মুড়ি-কলা বা আম-দুধ-চিড়ে-মুড়ি-কাঁঠালের রস-এর সব ক‘টাই যেমন সুস্বাদু তেমনই পুষ্টিকর। আর এসবের সঙ্গে একটু যবের ছাতু মেশালে জলখাবারের পুষ্টিগুণ বেড়ে যায় বেশ খানিকটা।
গরমের তরমুজের সরবত
লাল টকটকে ঠাণ্ডা তরমুজের সরবত কাচের গ্লাসে! একবারে হাতের মুঠোয় পৃথিবী! মনে পড়বে ছেলেবেলার কথা। লাল কাঠি আইসক্রিম খাওয়ার সোনালি দিনগুলোর কথা।
এটা বানানো খুব সহজ। তরমুজ কেটে লাল অংশটুকু চামচে করে কুরে একটা পাত্রে নিন। সামান্য চিনি আর একটু বরফ মিশিয়ে ঘুটে নিন। ঠাণ্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।
তরমুজের বীজ আগে থেকেই যতটা পারেন বাদ দেবেন। সরবত ভুলেও ছাঁকবেন না।
বেলের সরবত
উপকরন: পাকা বেল-৩৫০ থেকে ৪০০ গ্রাম, পতা টকদই ২০০ গ্রাম, চিনি ৪০০ গ্রাম, জল ২৫০ মিলিমিটার।
বেল হাতে বা মিক্সিতে ভাল করে ঘুটে জল, চিনি আর দই মেশান। এবার আবার ঘুঁটতে থাকুন। এইভাবে অথবা ফ্রিজে ঠাণ্ডা করে ছেলে মেয়েকে দিন।
মিল্ক শেক
আম আর কাঁঠাল, সঙ্গে দুধ, চিনি আর বরফ- এই হল মিল্ক শেকের উপকরণ। এর জন্য চাই মিক্সি। তিন জনের জন্য তিন গ্লাস দুধ, প্রয়োজন মতো চিনি, একটা বড় মিষ্টি আম আর কয়েক টুকরো বরফ মিক্সিতে ঘুটে নিয়ে টাটকা খেয়ে নিন একসঙ্গে বসে। মিল্ক শেক মানে ফলের অটুট পুষ্টি।
ফ্রুট সালাড
এবার বলি পুরোপুরি সাহেবি ব্রেকফাস্ট বা টিফিনের কথা। দুধ কড়ায় নাড়তে নাড়তে ঘন করে ফেলুন। চিনি মেশাবেন পরিমাণ মতো। একটা পাত্রে আম, কলা, আপেল, আঙুর, কাঁঠালের কোয়া ছোট ছোট টুকরো করে কেটে সালাডের মতো করে সাজিয়ে রাখুন। এবার ফলের পাত্রের ওপর ঘন হয়ে আসা দুধটুকু সমান ভাবে ছড়িয়ে দিন। ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করুন।