class="post-template-default single single-post postid-747 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

জবা ফুলের চায়ের উপকারগুলো জানলে প্রতিদিনই খাবেন

জবা ফুলের চায়ের উপকারগুলো জানলে প্রতিদিনই খাবেন

সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে,  নিয়মিত জবা ফুল দিয়ে বানানো চা খেলে নাকি রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানেরা সব বেরিয়ে যায়। আর এমনটা হলে নাকি রক্ত এতটা পরিশুদ্ধ হয়ে ওঠে যে রোগেভোগের আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। তবে ভাববেন না জবা ফুল এইটুকু উপকার করেই হাঁপিয়ে যায়, এই পানীয়টি নিয়মিত খেলে মেলে আরও অনেক উপকার। কোচি পাঁঠা আর সরিষার তেলে ভাসমান তরকারির নানা পদের কারণে যাতে কিডনি,লিভার আর হার্টের কোনও ক্ষতি না হয়, তার জন্য লিকার আর দুধ চা ছেড়ে খাওয়া শুরু করুন জবা ফুলের চা! দেখবেন আর কোনও চিন্তাই থাকবে না।

জবা ফুল দিয়ে বানানো চা খেলে সাধারণত যে যে উপকারগুলি পাওয়া যায়, সেগুলি হল…

 

. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:

বাওয়েল মুভমেন্টের উন্নতি ঘটানোর মধ্যে দিয়ে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটাতে এই পানীয়টির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে জবা ফুলে উপস্থিত ডিউরেটিক প্রপাটিজ এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।  কনস্টিপেশনের প্রকোপ কমাতেও এই ঘরোয়া ঔষুধটি দারুন কাজে আসে কিন্তু!

 

. অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজে ঠাসা:

জবাফুলে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যাসকর্বিক অ্যাসিড, যা একদিকে যেমন ভিটামিন সি-এর ঘাটতি মেটায়, তেমনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটিয়ে শরীরকে চাঙ্গা করে তোলে। এখানেই শেষ নয়, এই চায়ের ভেতরে থাকা বেশ কিছু উপকারি উপাদান শরীরের ভেতর  প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকেও বাঁচায়। সেই কারণেই তো সর্দি-জ্বরের প্রকোপ কমাতে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা জবা ফুল দিয়ে বানানো চা খাওয়ার পরামর্শ দেন।

 

. ওজন কমায়:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত হিবিস্কাস টি খেলে শরীরে শর্করা এবং স্টার্চের শোষণ কমে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন কমতে শুরু করে। তবে এখানেই শেষ নয়, বেশ কয়েকজন গবেষক এ প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে আরেকটি বিষয়ের উপর আলোকপাত করেছেন। তাদের মতে জবা ফুলের চায়ে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীরে অ্যামিলেস নামক একটি উপাদানের উৎপাদন কমিয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন কমার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।

 

. কিডনি স্টোনের আশঙ্কা কমায়:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে জবা ফুল দিয়ে বানানো চায়ে অ্যান্টি-ইউরোলিথিয়েটিক প্রপাটিজ থাকে, যা কিডনি স্টোন হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমিয়ে দেয়। তাই তো যারা দিনে খুবই কম পরিমাণে পানি পান করেন, তারা নিয়মিত যদি এই পনায়ীটি পান করতে পারেন, তাহলে কিডনি স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই কমে।

 

. রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখে:

কাজের চাপে ব্লাড প্রেসার আর নিয়ন্ত্রণে থাকে না। তাই তো অ্যাপোয়েন্টমেন্ট লেটার পাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই কারও কারও লো তো কারও হাই পিচে পৌঁছাতে শুরু করে রক্তচাপ। সেই কারণেই তো আজকের পরিস্থিতিতে জবা ফুলের চা খাওয়ার প্রয়োজন বেড়েছে।  আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশ করা এক রিপোর্ট থেকে জানা যায় এই বিশেষ চাটিতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ নিমেষে রক্তচাপকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!