বাইরে উপাদেয় খাবারে ভূরিভোজ মানেই টাকার শ্রাদ্ধ। কিন্তু খাওয়া থেকে কিছু টাকা বাঁচাতে পারলে তা দিয়ে অন্য খরচ মেটানো যায়। একটু মিতব্যয়ী হতে দোষ কি! কোনো কোনো রেস্তোরাঁয় ভালো খাবার খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তোলার সময় খুক্কুর খুক কাশি এসে যায়। মনে হতাশা ডানা ঝাপটায়—খাবার তো নয় যেন টাকাই খেলাম! যে টাকায় রেস্তোরাঁয় খেয়েছেন, তা দিয়ে বাজার করে বাড়িতে রান্না করে খেলে অনেক টাকা বেঁচে যেত।
কিন্তু যাঁরা রেস্তোরাঁর খাবার খেতে চান, তাঁরা চাইলে কয়েকটি সহজ উপায়ে কিছু টাকা বাঁচাতে পারেন। এ রকম সহজ কয়েকটি উপায় জেনে নিন:
ছাড় খোঁজেন: অনেক রেস্তোরাঁয় খাবার খেলে তারপর ফিডব্যাক ফরম দেয়। যা পূরণ করলে পরে বিনা মূল্যে গিয়ে খেতে পারেন। আবার অনেক রেস্তোরাঁয় বিভিন্ন সময় নানা অফার ও ছাড় দেয়। অর্থ বাঁচাতে একটু ঘেঁটে দেখুন কোনো রেস্তোরাঁয় ছাড় চলছে। চাইলে রেস্তোরাঁয় ছাড়ের কোনো বিষয় আছে কি না, তা জেনে নিতে পারেন। এতে আপনার কিছুটা অর্থ বাঁচবে। অনেক সময় রেস্তোরাঁয় কোনো অনুষ্ঠান করলে পরবর্তী সময়ে ছাড় পাওয়া যায়। সে সুযোগও নিতে পারেন।
বিশেষ দিনে রেস্তোরাঁ এড়িয়ে যান: ভ্যালেনটাইনস ডে বা অন্য কোনো বিশেষ দিনে রেস্তোরাঁমুখী না হওয়া ভালো। এসব উপলক্ষে অনেক রেস্তোরাঁ গলাকাটা দাম নিতে পারে। এসব দিনে খাবারের মানও খুব ভালো থাকে না। অর্থ বাঁচাতে তাই সচেতন থাকুন। যেসব রেস্তোরাঁয় এসব দিনে বিশেষ ছাড় দেয়, সেগুলোতে ঢুঁ মেরে আসতে পারেন।
কিছু খাবার বাদ দিন: একটু নামীদামি রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে দেখবেন মূল খাবারের সঙ্গে স্টার্টার, ড্রিংকসহ নানা অফার আপনাকে দেওয়া হচ্ছে। আপনি যদি টাকা বাঁচাতে চান, তবে এসব খাবার না করে দিন। জেনে নিন, এসব খাবার বাদ দেওয়া যাবে কি না। এতে কতটুকু অর্থ বাঁচবে—চিন্তা করে নিন। অর্থ বাঁচলে তা দিয়ে অন্য কিছু ফরমাশ দিতে পারবেন।
আগেই পরিকল্পনা করুন: অনেক রেস্তোরাঁয় মাসে বা সপ্তাহে নানা অফার দেওয়া হয়। অনলাইনে এগুলো একটু দেখে নিতে পারেন। অনেক খাবার এ সময় ছাড়ে পাবেন। আবার এক খাবারের সঙ্গে আরেক খাবার খাওয়ার সুযোগও পেয়ে যাবেন। এমন সুযোগ থাকলে নিতে পারেন। এতে কম খরচে প্রিয় রেস্তোরাঁয় খেয়ে আসতে পারবেন।
নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন: রেস্তোরাঁয় গিয়ে অনেকে খাবার দেখে হামলে পড়েন। কিন্তু পেটের অবস্থা বুঝে খাবারের ফরমাশ দিন। যদি ক্ষুধা কম থাকে, তবে অ্যাপিটাইজার দিয়েই মূল খাবারের কাজ চালিয়ে নিন। এতে খরচ কম হবে এবং চাইলে ডেজার্টও চেখে দেখতে পারবেন।
সাধারণ পানি খান: অনেকেই রেস্তোরাঁয় গিয়ে সাধারণ পানির বদলে অন্য এনার্জি ড্রিংক বা কোমল পানীয়র ফরমাশ দেন। কিন্তু মনে রাখবেন, শরীর সুস্থ রাখতে পানি গুরুত্বপূর্ণ। তাই যতটা সম্ভব কোমল পানীয় এড়িয়ে যান। এতে আপনার খরচ কমবে।
বিল চেক করুন: খাবার পর আপনার কত বিল এসেছে, সেটা পরীক্ষা করুন। কোন খাবারের দাম কত রাখা হয়েছে, সেটিও দেখে নিন। অসামঞ্জস্য পেলে তা জানান। যদি কোনো ডিসকাউন্ট থাকে, তবে তা ব্যবহার করুন। অনেক সময় আপনি ফরমাশ দেননি—এমন খাবারের বিলও আপনাকে ধরিয়ে দেওয়া হতে পারে। সাবধান থাকুন।