Monday, December 23
Shadow

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন সম্পর্ক ধর্ষণের শামিল : ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

যৌন সম্পর্ক ধর্ষণেরবিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা ধর্ষণের শামিল এবং তা নারীর সম্মানের প্রতি চরম আঘাত। গতকাল সোমবার এক মামলার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে এই মন্তব্য করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি এম আর শাহের সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলেন, ধর্ষণ নারীর মর্যাদা ও সম্মানে চূড়ান্ত আঘাত হানে। অভিযুক্ত যদি বিয়ে না করে সেই নারী ও তাঁর পরিবারের যত্নও নেয়, তবু তার অপরাধ অস্বীকার করা যায় না।

এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আদালত জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা ইদানীং আধুনিক সমাজে ক্রমেই বেড়ে চলেছে।

ছত্তিশগড়ের বাসিন্দা এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন এক নারী। সেই মামলার শুনানিতে বলা হয়, ২০০৯ সাল থেকে অভিযুক্তের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বিলাসপুরের কোনি অঞ্চলের বাসিন্দা ওই নিগৃহীতার। অভিযোগ, মহিলাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে ওই চিকিৎসক। সেই সম্পর্কের কথা পরস্পরের পরিবার জানত বলেও মামলার শুনানিতে জানা গিয়েছে।

এদিকে ওই মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালীনই অন্য এক নারীর সঙ্গে বিয়ে পাকা হয়ে যায় অভিযুক্তর। প্রতিশ্রুতি ভেঙে তাই সেই মহিলাকেই বিয়ে করে অভিযুক্ত। ঘটনার জেরে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন তার প্রাক্তন প্রেমিকা।

মামলায় অভিযুক্ত চিকিৎককে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় ভোপাল হাইকোর্ট। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন চিকিৎসক। সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ জানান,  মামলার সাক্ষ্য প্রমাণে স্পষ্ট হয়েছে যে, মামলাকারীকে কখনই বিয়ে করতে চায়নি অভিযুক্ত। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে যৌন মিলনই ছিল তার মুখ্য উদ্দেশ্য।

সুপ্রিম কোর্টের নজরে এই ঘটনা ধর্ষণ ছাড়া কিছু নয়। তবে দোষী চিকিৎসকের সাজা কমিয়ে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সূত্র: এই সময়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!