class="post-template-default single single-post postid-930 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

নিয়মিত সাঁতার কাটার উপকারগুলো কী জানেন?

নিয়মিত সাঁতার কাটার উপকারগুলো কী জানেন?

মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি অঙ্গকে কর্মক্ষম রাখতে কী করা যেতে পারে জানা আছে? শরীরচর্চা করলে কেমন হয়? বটে! করা যেতেই পারে। কিন্তু তাতে ১০০-এর কোটা পেরনো যাবে কি? মনে হয় না। তাহলে উপায়! সত্যিই যদি বহু দিন পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে দূরে থাকতে চান, তাহলে ঝটপট সাঁতারটা শিখে ফেলুন, তাহলেই কেল্লাফতে! কীভাবে? বিশেষজ্ঞদের মতে শরীর সুস্থ রাখতে সাঁতারের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আর সবথেকে মজার বিষয় হল এই শরীরচর্চাটি করতে কোনও যন্ত্রপাতির প্রয়োজন পরে না। শুধু ধারে কাছে সুইমিং পুল অথবা পুকুর হলেই চলে।

হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ে:

সাঁতার হল এক ধরনের অ্যারোবিক এক্সারসাইজ। আর যেমনটা সবারই জানা আছে যে, এই ধরনের শরীরচর্চা করলে হার্টের পাম্প করার ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে হৃদপিন্ডের পেশীদেরও সচলতা বৃদ্ধি পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ে। নিয়মিত সাঁতার কাটলে আরেকভাবেও হার্টের উন্নতি ঘটে। কীভাবে? বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত সাঁতার কাটা শুরু করলে দেহের ভেতরে প্রদাহ কমতে শুরু করে। আর এমনটা হওয়া মাত্র যে শুধু হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে, তা নয়, সেই সঙ্গে শরীরের বাকি অঙ্গের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

২. বুদ্ধি বাড়ে:

অষ্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক এই বিষয়ে গবেষণা চালাতে গিয়ে লক্ষ করেছিলেন যারা নিয়মিত সাঁতার কাটেন, তাদের মোটর স্কিলের উন্নতি ঘটে। ফলে ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মনোযোগ এবং বুদ্ধিও বাড়তে শুরু করে। আরও পড়ুন-http://matinews.com/2018/01/30/%e0%a6%aa%e0%a7%87%e0%a6%81%e0%a6%aa%e0%a7%87%e0%a6%b0/

৩. ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ায়:

আপনি কি অ্যাস্থেমায় ভুগছেন? তাহলে সাঁতার শেখার ব্যাপারে ভাবতে পারেন। কারণ একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণ করেছে যে, সাঁতার কাটার সময় ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়তে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অ্যাস্থেমার প্রকোপ কমে যায়। সেই সঙ্গে নাক ডাকার সমস্যাও একেবারে বাগে চলে আসে।

৪. খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত সাঁতার কাটলে শরীরে উপকারি কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে কমে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কমে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা। তাই তো পরিবারে যদি হার্টের রোগের ইতিহাস থাকে, তাহলে সাঁতার শিখতে ভুলবেন না যেন!

৫. প্রদাহ কমায়:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত সাঁতার কাটলে হার্টের পেশির ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কর্মক্ষমতার উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে শারীরিক প্রদাহ হ্রাস পাওয়ার কারণে অথেরোস্ক্লেরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!