class="post-template-default single single-post postid-17611 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

নুসরাতকে বাঁচাতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি: মেডিক্যাল বোর্ড প্রধান

নুসরাতকেফেনীর সোনাগাজীর অগ্নিদগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নুসরাত জাহান রাফির চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বুধবার সকাল থেকে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। একাধিকবার তার হার্ট অ্যাটাক করেছিল, তারপরও সে সার্ভাইভ করছিল। কিন্তু, রাত সাড়ে ৯টার দিকে সে মারা যায়।’

নুসরাতকে নুসরাতকে

তিনি বলেন, ‘নিহতের পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা আমরা করেছি।’

অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক।

নুসরাতের চাচাতো ভাই ওমর ফারুক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দুপুরে রক্তের দরকার পড়েছিল, তখন আমরা রক্ত সংগ্রহ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু, চিকিৎসকরা সকাল থেকে বারবার আমাদের নুসরাতের অবস্থার অবনতির কথা বলছিলেন। চিকিৎসকদের আশঙ্কাই সত্যি হলো।’

মৃত্যুর খবর শুনে বার্ন ইউনিটের আইসিইউ’র সামনে নুসরাতের বাবা, বড় ভাই ও মামা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

নুসরাতের চাচাতো ভাই ফরহাদ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা নুসরাতকে হত্যার বিচার চাই, আর কিছু বলার নাই। যারা এমন একটা কাজ করলো, তারা এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে, আমরা তাদের শাস্তি চাই।’

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানভীর আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নুসরাতকে যে বাঁচানো গেল না, কারণ হলো ৮৫ ভাগ মেজর বার্ন। এরমধ্যে ৬০ ভাগ গভীর পোড়া। তার শ্বাসতন্ত্র পোড়া আছে। কেরোসিন নিজেই টক্সিক। এটা ফুসফুস এবং ব্রেনের কার্যক্ষমতা পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়। এই চারটিই তার মৃত্যুর প্রধান কারণ বলা যায়। এমনিতে সুইসাইডাল বা হোমিসাইডাল দুইটার ক্ষেত্রেই ইনটেনসিভ থাকে। যেগুলো দুর্ঘটনাজনিত সেগুলোতে কোনও উদ্দেশ্য থাকে না। সেগুলো দুর্ঘটনাবশতই হয়ে যায়। যেগুলো আত্মহত্যার সেগুলোর ক্ষেত্রে সে নিজে চিন্তা করে যে, আমি কীভাবে পুড়লে মারা যাবো। আর যেগুলো খুনের বিষয় থাকে, সেখানে চিন্তা করে যে, কীভাবে পোড়ালে মারা যাবে, সে আর কিছু করতে পারবে না। সেই কারণে এই দুই ক্ষেত্রের দুর্ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ থাকে।

তিনি বলেন, ‘নুসরাতের ঘটনাটি আত্মহত্যাজনিত বলে আমাদের মনে হয় না। কারণ, আমরা তাকে যে রকম দেখেছি এবং তার যে অবস্থা, এতে করে এটাকে আমরা আত্মহত্যাজনিত কেস কোনোভাবেই বলবো না। তাছাড়া আপনারা মিডিয়ার মাধ্যমে জেনেছেন। আমরাও যতটুকু শুনেছি, এটা কোনোভাবেই আত্মহত্যাজনিত কোনও ঘটনা ছিল বলে আমার মনে হয় না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!