প্র: প্রথম দিকে আপনার সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার তুলনা করা হয়েছিল। কিন্তু সেটা একটা-দুটো ছবির পরেই বন্ধ হয়ে যায়। কী ভাবে সম্ভব হল?
উ: কারণ, আমি আর মিমিদিদি (প্রিয়ঙ্কা) অভিনেত্রী হিসেবে আলাদা। আমি ভাগ্যবতী যে, ক্রমাগত আমাদের তুলনা করা হয়নি। ইন্ডাস্ট্রিতে ভট্ট, কপূর বা খানের ভাইবোনদের মধ্যে কিন্তু তুলনামূলক বিচারটা বেশি হয়। আমি নিজেকে কাজের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করতে পেরেছি। তাই আমি ‘গোলমাল’, ‘নমস্তে ইংল্যান্ড’, ‘কেশরী’র মতো ছবি করছি। নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিই আমি। এখন আমি অনেক বেশি ঝুঁকিও নিতে পারি। এই পেশাকে উপভোগও করি বেশি।
প্র: ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে নিরাপদ মনে হয়?
উ: যখন নতুন ছিলাম, তখন বলতাম যে, ‘ইয়েস আই অ্যাম আ সিকিয়োর্ড অ্যাকট্রেস’। এখন আর বলি না। মানুষ হিসেবে আমি নিজেকে নিরাপদ মনে করি, কিন্তু এক জন শিল্পী হিসেবে কখনওই নয়। প্রত্যেক দিন আমাকে লড়াই করতে হয়। এখনও লুক টেস্ট দিই, অডিশন দিয়ে অপেক্ষা করি… তবে লড়াইটা সব সময়ে নিজের সঙ্গে চলে। আমার প্রতিযোগিতা অন্য অভিনেতার সঙ্গে নয়। আগের ছবির থেকে যেন এক ধাপ এগিয়ে থাকতে পারি, এটাই আমার স্বপ্ন।
প্র: মিমিদিদির বিয়ের প্রস্তুতি কেমন চলছে?
প্র: নিজের বিয়ে নিয়ে কিছু চিন্তাভাবনা করেছেন?
উ: এখন তো সময়ই নেই! চার দিকে সবাই বিয়ে করছে, সেগুলো সব অ্যাটেন্ড করি আগে (হেসে)!
প্র: ‘ইশকজ়াদে’র পরে আবার একসঙ্গে আপনি আর অর্জুন (কপূর)। আপনাদের বন্ধুত্বটা কেমন?
উ: আমার মতো মেয়ের এ রকম এক জন বন্ধুর খুব দরকার ছিল। জীবনে ব্যক্তিগত এবং পেশাগত নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি আমি। তখন বুঝেছি, এক জন ভাল বন্ধু থাকা কতটা অপরিহার্য। অর্জুনও ওর জীবনে অনেক ওঠা-পড়া দেখেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওর ব্যক্তিত্বও স্ট্রং হয়েছে। আমার যে কোনও দরকারে অর্জুনকে কল করতে পারি। যখনই আমি ভেঙে প়ড়েছি, অর্জুন আমাকে সময় দিয়েছে। আর আমিও অর্জুনের ব্যাপারে এতটাই যত্নশীল। আমরা একে অপরকে ভাল বুঝি। এ রকম বোঝাপড়া থাকলে রোম্যান্টিক সিনে কাজ করাটা খুব স্বাভাবিক হয়ে যায়।
প্র: ইন্ডাস্ট্রিতে ভাল বন্ধু পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার, তাই না?
উ: ইন্ডাস্ট্রিতে সকলেই খারাপ নয়। কিন্তু প্রত্যেকে খুব ব্যস্ত। গ্ল্যামার ওয়র্ল্ডে যারা কাজ করি, সবাই ভাবেন তাদের জীবনটা কত সহজ। অনেক টাকা পারিশ্রমিক আর পরিশ্রম কত কম! এটা একদম সত্যি নয়। অভিনেতারা সকলেই ভীষণ একা। দিনের শেষে কাজের পরে যখন একটু অবসর পাই, তখন বুঝতে পারি ইমোশনালি কতটা ডাউন হয়ে গিয়েছি। এতটা প্রেশারের মধ্যে থাকলে বন্ধুত্বের জন্য এনার্জি কোথায় পাবেন? আমার জীবনে কিছু বন্ধু আছে, যারা খুব গুরুত্বপূর্ণ— অর্জুন তাদের মধ্যে অন্যতম। আয়ুষ্মান খুরানা, আমার মেন্টর আদিত্য চোপড়া এদেরও আমি কোনও দিন ছাড়ব না।
প্র: নিজেকে খুশি রাখার জন্য কী কী করেন?
উ: এমন অনেক দিন আসে, যখন আমি এমনিই খুশি থাকি। আবার এমনও দিন আসে, যখন অবসাদের মধ্যে চলে যাই। তখন মনে হয়, আমার জীবনে ভাল কিচ্ছু হচ্ছে না। আর যদি কিছু ভাল বন্ধু তখন আশেপাশে থাকে, সেটা খুব বড় সাপোর্ট হয়ে যায়। পরিবারের ভূমিকাকে তো কোনও ভাবেই অস্বীকার করা যায় না। তবে নিজেকে ব্যস্ত রাখার জন্য আমি অনেক কিছু করি। ঘুরতে ভালবাসি, টিভি দেখি, সময় পেলেই খুব ঘুমোই। কাজের মধ্যে থাকলে আমাদের বডিক্লক তো ২৪ ঘণ্টা চলে। মানসিক ভাবেও আমরা খুব অবিন্যস্ত থাকি। তাই অবসর পেলে তার সদ্ব্যবহার করি।
প্র: অভিনয় ছাড়া অন্য কোনও দিকে যাওয়ার ইচ্ছে আছে?
উ: কিছু বছরের মধ্যে প্রযোজনা করার ইচ্ছে আছে। এ ছাড়া আমার সঙ্গে গান তো রয়েছেই। খুব শিগগিরি আমার একটা সিঙ্গল রিলিজ় করবে। আমল মালিক কম্পোজ় করেছেন। খুব তাড়াতাড়ি একটা ভিডিয়োও বানাব আমরা দু’জনে।