Friday, May 17
Shadow

পিরোজপুরের খবর : নাজিরপুরে কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে ২৪ শিক্ষার্থী অসুস্থ

গ্রাম বাংলার খবর ময়মনসিংহের খবর ফেনীর পিরোজপুরের ঝালকাঠির ফরিদপুরের ঢাকার রাজশাহীর চট্টগ্রামের কক্সবাজারের পাবনার নোয়াখালীর লক্ষ্মীপুরের সাতক্ষীরার সাভারের গাজীপুরের ভোলার পটুয়াখালীর তেঁতুলিয়ার কুমিল্লার বরিশালের চাঁদপুরের নারায়ণগঞ্জের সিলেটের কুষ্টিয়ার শরিয়তপুরের হবিগঞ্জের মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের টেকনাফের নীলফামারীর যশোরের খুলনার ঝিনাইদহের নেত্রোকোণার গাইবান্ধার রংপুরের দিনাজপুরের পঞ্চগড়ের চাপাইনবাবগঞ্জের নাটোরের টাঙ্গাইলের সিরাজগঞ্জের বগুড়ার নওগাঁর জামালপুরের কিশোরগঞ্জের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজবাড়ীর নরসিংদীর মাদারিপুরের গোপালগঞ্জের বেনাপোলের সুনামগঞ্জের চুয়াডাঙ্গার জয়পুরহাটের মেহেরপুরের মানিকগঞ্জের

পিরোজপুরের খবর : নাজিরপুরে কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে ২৪ শিক্ষার্থী অসুস্থ

পিরোজপুরের নাজিরপুরে কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে ২৪ শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীদের নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আজ সোমবার উপজেলা নাওটানা বিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলী আশ্রাফ জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মী মৃণাল হালদার তাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ান। এর আধা ঘণ্টা পরই শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হতে শুরু করে। প্রথমে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী লক্ষ্মী রানী শিকদার অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর কিছু সময় পরে একই শ্রেণির সুমি শিকদার, সুমাইয়া আক্তার, লিজা আক্তার, ইভা সরকার, ইলা সরকার, সাকুরা কনা, সপ্তম শ্রেণির মানছুরা আক্তার, লামিয়া আক্তার, স্বর্না বড়াল, রামিয়া আক্তার, নার্গিস আক্তার, দশম শ্রেণির মীম আক্তার অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়। পড়ে তাদের অবস্থার অবনতি হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।

এর পরে বিকাল সোয়া ৪ টার দিকে একই বিদ্যালয়ের শিবানী হালদার, সাদিয়া আফরিন, অঞ্জলী রানী, ফাল্গুনী আক্তার, শিউলী আক্তার, লাইজু আক্তার, মানসুরা আক্তার, রিমা খানম, তন্নী খানম, সুমাইয়া খানম, তামান্না আক্তার ও আজাহার মল্লিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই ২৫ শিক্ষার্থীকে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, অসুস্থ শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই কষ্টে চিৎকার করছে। তাদের সকলের হাতে সেলাইন দেওয়া। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী লামিয়া আক্তার জানায়, কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ার ১৫/২০ মিনিট পরই তার প্রথমে বমি বমি অনভব হয়। পরে প্রচণ্ড পেটে ব্যাথা ও হাত-পায়ে খিচুনি হয়। ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সাকুরা খানম জানায়, কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ার কিছু সময় পর প্রচণ্ড পেটে ব্যাথা ও মাথা ঘোরানো অনুভব হয়। সে কয়েক বার বমিও করেছে।

খবর পেয়ে নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুনিরুল ইসলাম মুনির অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।

নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রতন কুমার ঢালী জানান, খালি পেটে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর কারণে গণহিস্ট্রোরিয়া আক্রান্ত হয়েছে শিক্ষার্থীরা। এটা একজনের হলে এর দেখা দেখি অন্যরাও আক্রান্ত হয়ে পড়ে। কৃমিনাশক ঐষধের কোনো সমস্যায় এ ঘটনা ঘটেনি। তবে আতঙ্কের কিছু নেই। আক্রান্তরা সবাই শঙ্কামুক্ত।

এ বিষয়ে পিরোজপুর সিভিল সার্জন ডা. ফারুক আলম জানান, এটি কৃমির ওষুধ খাওয়ার জন্য কোনো সমস্যা নয়। বিষয়টি ‘মাক্স সাইকোজেনিক ইলনেস’ জনিত ঘটনা। একজন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তা অন্যরা দেখে ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এ জাতীয় সমস্যা একটু কাউন্সিলিং করলেই ঠিক হয়ে যাবে। বড় ধরনের কোনো সমস্য নয়। পিরোজপুরের খবর পিরোজপুরের খবর

পিরোজপুরের খবর : নাজিরপুরে কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে ২৪ শিক্ষার্থী অসুস্থ

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!

error: Content is protected !!