Saturday, March 15

প্রাণ যাওয়ার আগে খাসোগির শেষ কথা…

খাসোগির‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না’—তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে নিজ দেশের কর্মকর্তাদের হাতে খুন হওয়ার আগে বারবার এই কথা বলছিলেন ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাসোগি । এটাই ছিল খাসোগির শেষ কথা। কয়েকবার এই কথা বলতে বলতেই এক সময় নিথর নিরব হয়ে যান খাসোগি।

৯ ডিসেম্বর, রবিবার খাসোগি হত্যার তদন্তে সংশ্লিষ্ট এক সূত্রের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন এই খবর জানিয়েছে।

খাসোগির মৃত্যুর অন্তিম মুহূর্তের অডিও রেকর্ডের ভাষান্তরিত প্রতিলিপি পড়া এই সূত্রটি জানায়, এই বিষয়টি পরিষ্কার যে ২ অক্টোবর খাসোগিকে হুট করেই হত্যা করা হয়নি। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী এই সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে।

সূত্রটি বর্ণনা করে, বিভীষিকাময় ওই সময়ে খাসোগি প্রাণপণ চেষ্টা করছিলেন বাঁচতে। কিন্তু যেদলটি এসেছিল তারা খাসোগিকে হত্যায় মরিয়া ছিল। ওই অন্তিম মুহূর্তে খাসোগি বারবার বলতেছিলেন—

‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না’
‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না’
‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না’

প্রতিলিপিতে বলা হয় খাসোগির দেহ নিশ্চিহ্ন করতে করাত দিয়ে কাটা হয়। আর শব্দ যেন বাইরে না যায় সে জন্য হত্যাকারীদের গান শুনতে বলা হয়েছিল।

ওই সূত্র মতে, হত্যা ঘটনার সময় বেশ কয়েকবার ফোনালাপে ঘটনার উন্নতি কাউকে অবগত করা হচ্ছিল। তুরস্কের কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন, রিয়াদের জ্যেষ্ঠ কোনো কর্মকর্তাকে এই ফোনগুলো করা হয়েছিল।

গত ২ অক্টোবর প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র নিতে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর থেকেই নিখোঁজ হন খাসোগি। পরে বিভিন্ন মহলের চাপে খাসোগির খুনের বিষয়টি স্বীকার করে সৌদি আরব।

সৌদি আরব প্রথম থেকেই খাসোগির নিখোঁজের বিষয়ে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করে। তবে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে পশ্চিমা দেশগুলোর উত্তরোত্তর চাপ বৃদ্ধির পর সৌদি আরব অবশেষে স্বীকার করে যে খাসোগিকে দূতাবাসের ভেতরে হত্যা করা হয়েছে।

সৌদি রাজতন্ত্রের সমালোচক খাসোগি ২০১৭ সাল থেকে ওয়াশিংটনে স্বেচ্ছা-নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছিলেন। বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র জোগাড়ে তিনি বাগদত্তাকে বাইরে রেখে ইস্তাম্বুলের কনস্যুলেটে প্রবেশ করেন। এরপর থেকেই তার খোঁজ নেই বলে দাবি করেছিল তার বাগদত্তা হেটিস চেঙ্গিজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *