গানের বাইরে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী পড়শীর রয়েছে আলাদা এক ভুবন। যা তিনি তার মতো করে গড়ে তুলেছেন। সময় পেলেই সে ভুবনে হারিয়ে যান পড়শী। মেতে উঠেন মনের আনন্দে। ভক্ত-শ্রোতারা হয়তো জানতে চান, কি আছে তার সেই ভুবনে? পড়শীর সে ভুবনজুড়ে আছে তার শখগুলো।
ছোটবেলা থেকে কুকুরের প্রতি পড়শীর ভালোলাগা ছিল অন্যরকম। সে ভালোবাসা একটা সময় শখে গড়ায়। আর তাই পড়শী একটি নয়, দুটি নয় আটটি কুকুর পুষছেন। এগুলোর মধ্যে পাঁচটি কুকুরের সঙ্গে তার সখ্যতা বেশি। সারাক্ষণ ওরা পড়শীর সঙ্গে থাকে। বাকি কুকুরগুলোর ঠিকানা হয়েছে তার বাড়ির ছাদে থাকা মিনি চিড়িয়াখায়। অবশ্য ওগুলোর সঙ্গে তার সখ্যতা নেই, এমন কিন্তু না।
পড়শী বলেন, ‘আমি আমার বাসায় মিনি চিড়িয়াখান তৈরি করেছি। এখানে অনেক কিছু আছে। কুকুর, বিড়াল, পায়রাসহ বিভিন্ন ধরনের পাখী। সময় পেলে আমি ওখানে সময় কাটাই। বেশ ভালো লাগে। তাছাড়া আমার পাঁচটি বন্ধু আছে। ওদের নাম নিমো, রানী, ডরি, ক্যান্ডি ও বেরি। আমার আওয়াজ শুনলেই ওরা হন্নে হয়ে আমাকে খুঁজবে। বাসায় থাকলে সারাক্ষণ ওরা আমার সঙ্গে খেলা করবে। আমিও ওদের সঙ্গে খেলা করি। ওরা আমার খেলার সাথী।’
পড়শীর শখের তালিকায় আরও আছে বিভিন্ন ধরনের পাখি। তাই তো তিনি তার মিনি চিড়িয়াখানায় নানা ধরনের পাখি রেখেছেন। সময় পেলে পাখির কিচিরমিচির ছন্দে গান তোলেন।
পড়শী বলেন, ‘অন্যদের কাছে পাখির কিচিরমিচির হয়তো ভালো লাগবে না। তবে আমার কাছে তা দারুণ লাগে। ইট-পাথরের শহরে পাখির গান শোনা কষ্টকর। তবে আমার বাড়ির ছাদে পাখি রোজ খেলা করে, গানও গায়। প্রায়ই ওদের সঙ্গে আমিও সুর তুলি।’