class="post-template-default single single-post postid-19683 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

ফার্মের মুরগীর মাংস আমাদের দেহের জন্য কতটা ক্ষতিকর?

ফার্মের মুরগীর

ফার্মের মুরগীর মাংস আমাদের দেহের জন্য কতটা ক্ষতিকর?

ফার্মের মুরগীকে যে খাবার দেয় হয় তা হচ্ছে চামড়া শিল্পের বর্জ্য। এসব বর্জ্যে আছে বিষাক্ত ক্রমিয়াম। যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। মুরগি রান্না করলেও এই ক্রমিয়াম নষ্ট হয় না। কারণ এর তাপ সহনীয় ক্ষমতা হলো ২৯০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট। আর আমরা রান্না করি ১০০ -১৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেটে।ফলে এই বিষাক্ত ক্রমিয়াম মুরগির মাংস থেকে আমাদের দেহে প্রবেশ করে কিডনি, লিভার অকেজো করে দিতে পারে। এছাড়া এই বিষাক্ত ক্রমিয়াম দেহের কোষ নষ্ট করে দেয় যা পরবর্তীতে ক্যানসার সৃষ্টি করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আবুল হোসেন তার গবেষণায় দেখতে পান প্রতি ১০০০ গ্রাম মুরগীর মাংসে ক্রমিয়াম আছে ৩৫০ মাইক্রোগ্রাম।

হাড়ে ক্রমিয়াম আছে ২০০০ মাইক্রো গ্রাম। কলিজায় ক্রমিয়াম আছে ৬১২ মাইক্রো গ্রাম। মগজে আছে ৪,৫২০ মাইক্রো গ্রাম। রক্তে আছে ৭৯০ মাইক্রো গ্রাম ক্রমিয়াম।

World Health Organization (WHO)-এর মতে, একজন মানুষের ৩৫ মাইক্রোগ্রাম ক্রমিয়াম গ্রহণ করতে পারে। এর বেশি হলে তা দেহের জন্যে ক্ষতিকর। আমরা যদি ২৫০গ্রাম ওজনের এক টুকরা মাংস খাই তবে আমদের দেহে প্রবেশ করছে ৮৭.৫ মাইক্রোগ্রাম ক্রমিয়াম যা অনেক বেশি।

আবার আমরা যদি ৬০ গ্রাম ওজনের একটা মাংসের টুকরো খাই তবে তা থেকে আমরা পাচ্ছি ২১.৮৮ মাইক্রো গ্রাম ক্রমিয়াম।

যা সহনীয় পর্যায়ে কিন্তু এই ক্ষতিকর এই ক্রমিয়াম ছাড়াও মুরগিকে দেয়া হয় নানা ধরনের এন্টিবায়োটিক।

কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মতে, মুরগির মাংসে এবং ডিমে এসব এন্টিবায়োটিক বর্তমান থাকে। আর এসমস্ত এন্টিবায়োটিক মুরগির মাংস ও ডিমের সঙ্গে আমাদের দেহে প্রবেশ করে এবং আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।

সর্বশেষে বলতে হয় আমাদের এই বিষাক্ত ফর্মের মুরগী খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

আমরা অনেকেই আমাদের কোমলমতি বাচ্চাদের নিয়ে বাইরে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে খেতে যাই আর বাচ্চাদের পছন্দই থাকে চিকেন ফ্রাই , গ্রিল,তান্দুরি ইত্যাদি চিকেন আইটেম যা বেশিরভাগ সময় ফর্মের মুরগির হয়ে থাকে।

আমাদের এখনই সাবধান হতে হবে, বিষাক্ত এইসব ফর্মের মুরগি থেকে নয়তো আমরা এবং আমাদের অতি আদরের সন্তানরা পড়বে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। যা আমাদের কারোই কাম্য নয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!