Thursday, May 2
Shadow

চুলে রং লাগাতেই বদলে গেল মুখের আদল! মুখ-মাথা ফুলে ‘ঢোল’ হল তরুণীর!

চুলে রংফ্রান্সের এক ১৯ বছরের তরুণী, নাম এস্তেলে, বাজার থেকে চুলের কলপ কিনে এনে চুলে রং লাগিয়েছিলেন। কিন্তু ওই রং সামান্য পরিমাণ মাথায় লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে খুব অস্বস্তি হতে শুরু করে। মুখ জ্বালা করতে শুরু করে। তারপর চেহারার চারেপাশে অদ্ভুতভাবে ফুলে ওঠে। এমনকি জিভও ফুলে যেতে শুরু করে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই তরুণীর মুখ ফুলে ঢোল!

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যালার্জির ওষুধ খাওয়ার পরও সমস্যা নিয়ন্ত্রণে না আসায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় ওই তরুণীকে। ২৪ ঘণ্টা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন থাকার ধীরে ধীরে সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আসে।

হাসপাতালের চিকিত্সকদের মতে, চুলের রঙে থাকে ‘প্যারাফিনাইলেনেডিয়ামিন’ (পিপিডি) নামের রাসায়নিক উপাদানের প্রভাবেই তরুণীর অ্যালার্জির সমস্যা মারাত্মক বেড়ে যায়। চিকিত্সকদের মতে, এই উপাদানের প্রভাবে ত্বকের বিভিন্ন স্থানে রং পরিবর্তন, ফুসকুড়ি, তীব্র চুলকানি, জ্বালা ভাব ইত্যাদি নানা সমস্যা হতে পারে।

শুধু এস্তেলেই নয়, তাঁর মতো অনেকেই সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে আর একই সঙ্গে স্টাইল করতে চুল রং করে থাকেন। পুরুষ-মহিলা উভয়েই নিজের মনের মতো করে চুল সাজিয়ে নেন পছন্দের রঙে। কিন্তু চুলে করা এই নানা ধরনের রঙের মারাত্মক ভয়াবহ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে তা আমরা অনেকেই জানি না।

চলুন জেনে নেওয়া যাক এই সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য।

১) অ্যালার্জি: অনেকের ত্বক অনেক বেশি সংবেদনশীল (সেনসিটিভ) হয়ে থাকে। ফলে সামান্য রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসা মাত্রই অ্যালার্জির সমস্যা শুরু হয়ে যায়। paraphenylenediamine অর্থাৎ পিপিডি অনেক বেশি অ্যালার্জি উদ্রেককারী রাসায়নিক যার প্রভাবে মাথার ত্বকে চুলকুনি, জ্বালা, ফুলে যাওয়া, র‍্যাশ ওঠা, খুশকি সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়াও অ্যালার্জি যদি মারাত্মক পর্যায়ে চলে যায় তাহলে চোখ ফুলে যাওয়া, চোখ, নাক ও মুখের চারপাশের ত্বকে অ্যালার্জির প্রকোপে র‍্যাশ দেখা দিতে পারে।

২) হাঁপানি: অবাক হলেও একথা সত্যি যে, চুলে রং সামান্য পরিমাণ মাথায় লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে খুব অস্বস্তি হতে শুরু করে। মুখ জ্বালা করতে শুরু করে। রঙের জন্য হাঁপানির সমস্যা দেখা দিতে পারে বা বাড়তে পারে। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা নিয়মিত চুলে রং করেন, তাদের ত্বকে অ্যালার্জি বা হাঁপানি হওয়ার প্রবনতা অনেকটাই বেশি। এখানেও কাজ করে সেই একই ক্ষতিকর রাসায়নিক পিপিডি।

৩) ক্যান্সার: দ্য অ্যামেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি-র গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পিপিডি (paraphenylenediamine) মানুষের ডিএনএ সেল নষ্ট করে ক্যান্সারের কোষ উৎপন্ন করতে পারে। এই রাসায়নিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতেও সক্ষম। যার ফলে স্তন ক্যান্সারের আশঙ্কাও অনেকটাই বেড়ে যায়। যদিও চুলে রং করার রাসায়নিক মিশ্রণে এই পিপিডি নামক বস্তুটি পাওয়া গিয়েছে খুবই সামান্য পরিমাণে তা সত্ত্বেও বিষয়টি নিয়ে আরও সতর্ক হওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!

error: Content is protected !!