বর্ষার রোগবালাই থেকে মুক্ত থাকতে যা করবেন
গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহের পর বর্ষা স্বস্তি নিয়ে আসে।সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের রোগবালাইয়েরও ঝুঁকি থাকে এই সময়।এই কারণে এই সময় সাবধান থাকাটা জরুরি। বর্ষার সময়ে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়া, টাইফয়েড, ভাইরাস জ্বর,কলেরা, পেটের সমস্যা , ইনফেকশন, জন্ডিস-এসব রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে।
বর্ষায় সুস্থ থাকতে কয়েকটি বিষয় মেনে চলা জরুরি।
১.বৃ্ষ্টি বা বন্যার পানিতে কোনো কারণে ভিজলে অবশ্যই ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত -পা ধুতে হবে।
২.শিশুদের বন্যার পানিতে খেলতে দেওয়া ঠিক নয়
৩.খাওয়ার আগে অবশ্যই শিশুদের হাত ভালো ভাবে ধুতে হবে
বর্ষার সময় মশার বংশবিস্তার বেড়ে যায়। যার ফলে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার মতো অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এ কারণে ঘরের আশেপাশে বা ভিতরে যাতে মশার পরিমাণ না বাড়ে সেজন্য কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন।
১.ঘরের ভিতরে কোনো স্থানে যাতে পানি জমে মশা বংশবিস্তার না বাড়াতে পারে সেজন্য নিয়মিত ঘরের ভিতর পরিষ্কার রাখুন।
২. ঘরে পোষা প্রাণি থাকলে কয়েকদিন পর পর তাদের গরম পানি দিয়ে গোসল করান।
৩.শোওয়ার সময় মশারি ব্যবহার করুন।
৪.বড় হাতার জামা,ফুল প্যান্ট পরিধান করুন।
৫. নিজে পরিষ্কার থাকুন। ঘরবাড়ি পরিষ্কার –পরিচ্ছন্ন রাখুন।
এছাড়া এই সময়ের অন্যান্য রোগ থেকে বাঁচতে আরও কিছু সতর্কতা মেনে চলা জরুরি।
১. বর্ষায় ঘন ঘন বৃষ্টিতে ভেজা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
২. বর্ষায় খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সি-এর পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। তাহলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
৩. বৃষ্টিতে ভিজে গেলে বাড়িতে ফিরে আবার গোসল করুন। এতে শরীরে রোগ জীবাণু আক্রমণের ঝুঁকি কমে যাবে।
৪.গরম পানীয় পান করুন— বৃষ্টিতে ভেজার পর বাড়িতে এসে গোসল করে শুকনো কাপড়-চোপড় পড়ে গরম স্যুপ বা গরম দুধ পান করুন।
৫. প্রচুর পানি পান করুন।তবে সেটা যেখান –সেখান থেকে নয়। পানিটা যাতে বিশুদ্ধ হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
৬.বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ছাতা বা রেইনকোট ব্যবহার করুন।