class="post-template-default single single-post postid-1181 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

যে দশটি রেকর্ড ভেঙ্গে যেতে পারে রাশিয়া বিশ্বকাপে

বিশ্বকাপ

যেকোনো টুর্নামেন্ট মানেই রেকর্ড। তেমনি ফিফা বিশ্বকাপ এও রয়েছে বেশকিছু রেকর্ড যা দীর্ঘদিন যাবত অক্ষত আছে। তবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া রাশিয়া বিশ্বকাপে ভেঙ্গে যেতে পারে কিছু রেকর্ড। আসুন দেখে নেওয়া যাক এমন কিছু রেকর্ড; যা ভাঙার অপেক্ষায় আছে:

১৩৫

আসন্ন বিশ্বকাপে যদি শেষ ষোলর লড়াইয়ে উরুগুয়ে ও পর্তুগাল মুখোমুখি হয় তাহলে সেটি হবে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী দুই কোচের মধ্যকাল লড়াই। যাদের সমন্বিত বয়স ১৩৫ বছর। কারণ, এ সময় দুই দলের কোচের দায়িত্বে আছেন যথাক্রমে অস্কার তাবারেজ ও ফার্নেন্দো ফেরমান্ডো। এর আগে বিশ্বকাপে সর্বাধিক বয়সী কোচের খেলার রেকর্ডটি হচ্ছে ১৩৩ বছর ৯ মাস। ২০১০ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে গ্রিসের অট্টো রেহাগেল ও নাইজেরিয়ার লার্স লাগেরব্যাকের সমন্বিত বয়স ছিল এটি।

৪৫

মিসর যখন গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলতে নামবে তখন দলটির সিনিয়র সদস্য ইসাম আল হাদারির বয়স হবে ৪৫ বছর ৫ মাস। সেখানে যদি তিনি মাঠে নামার সুযোগ পান তাহলে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়সী বিশ্বকাপ খেলোয়াড়ের নতুন রেকর্ড গড়বেন তিনি। বর্তমানে ওই রেকর্ডটির মালিকানা রয়েছে ফরিদ মন্দ্রাগনের দখলে। ৪৩বছর তিন দিন বয়সে বিশ্বকাপ খেলেছেন এই ফুটবলার।

১৩

বিশ্বকাপে টানা ১৩ ম্যাচে অপরাজিত থেকে বিশ্বরেকর্ডটি বর্তমানে ব্রাজিলের দখলে। ১৯৫৪ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে হাঙ্গেরির কাছে ৪-২ গোলে পরাজিত হওয়া দলটি পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে সেই হাঙ্গোরির কাছেই হেরেছে ৩-১ গোলে। তবে এ সময়ে তারা বিশ্বকাপে অপরাজিত ছিল ১৩টি ম্যাচে।

অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপে ৬ গোলের রেকর্ডটির মালিক আর্জেন্টিনার ফুটবল কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনা। একই দলের বর্তমান অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে সাবেক অধিনায়কের ওই রেকর্ড ভাঙ্গতে হলে করতে হবে আর মাত্র তিন গোল।

বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচের অপরাজিত থাকার রেকর্ডটি বর্তমানে কনকাকাফ অঞ্চলের দল মেক্সিকোর দখলে। যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪ থেকে ফ্রান্স ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ওই রেকর্ড গড়েছিল তারা। এবার কোস্টারিকা রয়েছে ওই রেকর্ড ভাঙ্গার দ্বারপ্রান্তে। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে তারা নিজেদের ৫ ম্যাচের একটিতেও হারেনি। এবারের আসরে যদি তারা সার্বিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে হার এড়াতে পারে, তাহলে ওই রেকর্ডে ভাগ বসাতে পারবে। পরের ম্যাচে ব্রাজিলের বিপক্ষেও যদি সেটি করতে পারে তাহলে নতুন রেকর্ডে আসন পাবে কোস্টারিকা।

প্রথম কোনো ফুটবলার হিসেবে তিন বিশ্বকাপে ৫ গোল করা খেলোয়াড় হতে পারেন জার্মানির টমাস মুলার। টুর্নামেন্ট ইতিহাসে তার স্বদেশী মিরোস্লাভ ক্লোসা এবং পেরুরর টিওফিলো কুবলাস শুধু মাত্র চারবার এ রেকর্ড গড়তে সক্ষম হয়েছেন। বিশ্বকাপে রেকর্ড সর্বাধিক ১৬ গোল রয়েছে কেবলমাত্র ক্লোসার।

আসন্ন রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেলে রাফা মারকুইজ হবেন তৃতীয় কোনো ফুটবলার এবং দ্বিতীয় মেক্সিকান যিনি ৫টি বিশ্বকাপে খেলার রেকর্ড বইয়ে জায়গা করে নেবেন। এর আগে এ্যান্টনিও কারভাজাল ও জার্মান কিংবদন্তি লোথার ম্যাথুজ এই রেকর্ড বইয়ে নাম লিখিয়েছেন। ইতালীয় গোল রক্ষক জিয়ানলুইজি বুফনও এই তালিকায় যোগ দেয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এবারের আসরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি ৪বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

পরপর ৫ ম্যাচে ড্রয়ের রেকর্ডটি বেলজিয়াম দখল করেছে ১৯৯৮ ও ২০০২ বিশ্বকাপের সময়। ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপে সর্বশেষ তিন ম্যাচে ড্র করেছে কোস্টারিকা।

আসন্ন ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে গোল পেলেই চার আসরে গোল করার রেকর্ডে পৌছাতে পারবে অস্ট্রেলিয়ার টিম চাহিল, মেক্সিকোর রাফা মারকুইজ এবং পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।

কোচ ও খেলোয়াড় হিসেবে তিন ব্যক্তি বিশ্বকাপের শিরোপা লাভ করার ইতিহাস গড়বেন, যদি দিদিয়ের দেশ্যমের অধীনস্থ ফ্রান্স এবারের আসরে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারেন। সাবেক এই রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপ জয়ী ফরাসি দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এর আগে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছেন মারিও জাগালো ও ফ্রেঞ্জ বেকেনবাওয়ার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!