Wednesday, April 16

মধুর সাথে একটু দারচিনি উপকারের শেষ নেই

মধুর সাথে একটু দারচিনি উপকারের শেষ নেই

সুস্থভাবে বাঁচতে চান, নাকি ডাক্তারের দাস হয়ে শ্বাস নিতে চান?  সবাই তো সুস্থভাবেই বাঁচতে চায়। এমন কাউকে কি খুঁজে পাবেন, যে বলবে আমি অসুস্থ হতে চাই! তাই যদি হয় তাহলে মধু এবং দরচিনি খাওয়ার অভ্যাস করেননি কেন? একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, এই দুই প্রকৃতিক উপাদান একসঙ্গে যদি খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা যেমন বাড়ে, তেমনি ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়। মেলে আরও অনেক উপকার।

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়:

নিয়মিত যদি পরিমাণ মতো দারচিনির পেস্টের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন, তাহলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের পরিমাণ বাড়তে থাকে যে ধীরে ধীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মারাত্মক শক্তিশালী হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে ক্লান্তিও দূর হয়।

২. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে:

পরিবারে কি এই মরণ রোগের ইতিহাস রয়েছে?  দরচিনি এবং মধু খাওয়া শুরু করতে হবে। কারণ এই দুই প্রাকৃতিক উপাদান ইনসুলের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

৩. ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে:

মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, যা শরীর থেকে টক্সিক উপাদানদের বের করে দিয়ে ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা কমায়। অন্যদিকে দারচিনিতে উপস্থিত অ্যান্টি-টিউমার প্রপাটিজ শরীরে কোথাও টিউমার হতে দেয় না। ফলে ক্যান্সার রোগ ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগই পায় না।

৪. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত দারচিনি এবং মধু খেলে স্টমাকে উপস্থিত গ্যাস বেরিয়ে যায়। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বদহজম এবং বুক জ্বালার মতো সমস্যা কমে যায়।  ব্লাডার ইনফেকশনের মতো রোগের চিকিৎসাতেও এই দুটি প্রাকৃতিক উপাদান বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৫. আর্থ্রারাইটিসের প্রকোপ কমায়:

নিয়মিত গরম জলে পরিমাণ মতো মধুর এবং দারচিনি পেস্ট মিশিয়ে খেলে জয়েন্টে প্রদাহ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হাড়ও শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আর্থ্রারাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *