মানসিক চাপ কমাবে গান, জানতে চান কিভাবে ?
সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা যায়, যারা নিয়মিত গান শুনে তাদের থেকে দূরে থাকে ডিপ্রেশনের মতো রোগ। প্রায় ৪২১ জনের উপর করে একটি গবেষণা চলাকালীন বিশেষজ্ঞরা লক্ষ করেছিলেন, চিরাচরিত পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে যতটা দ্রুত ডিপ্রেশনকে কমিয়ে আনা সম্ভব, তার থেকে অনেক তাড়াতাড়ি সম্ভব মিউজিক থেরাপির সাহায্যে। সহজ কথায় মন খারাপের কালো মেঘের চাদর সরাতে গানের যে কোনও বিকল্প নেই, সে কথা মেনে নিয়েছেন গবেষকরা।
মানসিক চাপ ও যন্ত্রণা কমায় গান
১. স্ট্রেস কমে:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে স্ট্রেস বাড়তে বাড়তে যদি একবার তা ক্রণিক স্টেজে পৌঁছে যায়, তাহলেই বিপদ! সেক্ষেত্রে মানসিক চাপের কারণে শরীরে এসে বাসা বাঁধতে শুরু করে নানা রোগ। ফলে জীবন ধীরে ধীরে দুর্বিসহ হয়ে ওঠে। তাই তো স্ট্রেসকে দূরে রাখা সবার উচিত। আর এই কাজটি করতে গান শোনার অভ্যাসের কোনো বিকল্প নেই। আসলে মানসিক চাপ বাড়ার সময় যদি একটু পছন্দের গান শুনে নেওয়া যায়, তাহলেই মস্তিষ্কের ভেতরে সেরাটোনিন এবং ডোপামাইনের মতো ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে স্ট্রেস কমতে সময়ই লাগে না।
২. যন্ত্রণা কমায়:
২০১৩ সালে একটি গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে, যদি অসহ্য যন্ত্রণার সময় পছন্দের কোনও গান শোনা যায়, তাহলে কষ্ট কমতে বেশি সময় লাগে না। তাই যখনই মানিসিক যন্ত্রণায় ভুগবেন তখনই গান শোনবেন।
৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:
কথাটা শুনতে অবাক লাগলেও, অনেকগুলো গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে, গান শোনার সঙ্গে আমাদের শরীরের ভাল-মন্দের অনেকাংশেই জগিয়ে আছে। শুধু তাই নয়, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতেও গানের যে বিশেষ একটা ভূমিকা আছে। উইলকেস ইউনির্ভাসিটির গবেষকদেরে একটি গবেষণায় দেখা গেছে, গান শোনার সময় আমাদের শরীরের ভেতরে “আই জি- এ” নামক অ্যান্টিবডির কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। এই অ্যান্টিবডিটি যত শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তত রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থা জোড়দার হয়। আর ইমিউনিটি একবার বেড়ে গেলে যে কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
৪. স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে:
গত বছর প্রকাশিত একটি স্টাডি অনুসারে গান শোনার সময় আমাদের মস্তিষ্কের ভেতরে পরিবর্তন হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বেশ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যে কারণে ব্রেনের বিশেষ একটা অংশ এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে স্মৃতিশক্তি বাড়তে শুরু করে। শুধু তাই নয়, কোনও রোগের কারণে যাদের স্মৃতিশক্তি কমে গেছে তাদের যদি নিয়মিত গান শোনানো যায়, তাহলে ব্রেনের অ্যাকটিভিটিতে যে অনেক পরিবর্তন আসে, তা ইতিমধ্যেই প্রমাণ করেছেন একদল নিউরোলজিস্ট।
৫. শরীরচর্চা করার সময় অনুপ্রাণিত করে:
একদল ইংরেজ গবেষক একটি পরীক্ষা চলাকালীন খেয়াল করেছিলেন হাই বিটের কোন গান শেনার সময় যদি শরীরচর্চা করার যায়, তাহলে এক্সারসাইজ করার ইচ্ছা বাড়তে শুরু করে। কারণ গান শোনার সময় মন ভাল হয়ে যায়।