বেশিরভাগ মানুষই মুখে দুর্গন্ধের সমস্যায় ভোগেন। সকাল ঘুম থেকে উঠে তো বটেই, সারা দিনই মুখে দুর্গন্ধ হয় অনেকের। ফলে অন্য কারও সঙ্গে কথা বলতে গেলে মুখের দুর্গন্ধ অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এই সমস্যার হাত থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
প্রথমত, মুখের দুর্গন্ধের পেছনে বড় ভূমিকা মুখগহ্বরে বা পেটে জন্মানো জীবাণু হতে পারে। আরও একটি কারণ হতে পারে শরীরে জলের পরিমাণ কমে যাওয়া। চলুন তাহলে এই সমস্যা দূর করে সহজ উপায়গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
* খাবারের কণা দাঁতের ফাঁকে আঠকে থাকাটা কোনো অস্বাভাবিক বিষয় নয়। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই এটা হয় এবং এই খাবারের জন্মানো জীবাণু পরে মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। প্রতিবার খাবার খাওয়ার পর বা দিনে অন্তত দুবার দাঁত পরিষ্কার করা দরকার।
* দাঁত মাজলেই যে মুখের সব জীবাণু চলে যাবে, এমন নয়। প্রতি বার দাঁত মাজার সময় জিভটাও পরিষ্কার করুন। জিভের ওপর জমা খাবারের কণা তাতে চলে যাবে।
* ধূমপানের কারণে মুখে মারাত্মক দুর্গন্ধ হতে পারে। কারণ এতে মুখের ভিতর শুকিয়ে যায় এবং মুখের মধ্যে জন্মানো জীবাণুর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। ধূমপানের ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে। তাই মুখের ক্ষত বা ঘা শুকাতে সময় নেই। সেক্ষেত্রে সমস্যাটি বাড়ে।
* হজমের সমস্যার কারণও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। পেট পরিষ্কার না হলে এই সমস্যা বাড়ে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে হজমের এনজাইম খেতে পারেন। তাতে হজম ক্ষমতা বাড়বে। পেট পরিষ্কার হবে।
* মুখের ঘা বা ক্ষতের কারণে দুর্গন্ধ হয়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক থাকলে এই আলসার দ্রুত সারে। কিন্তু সেটা না হলে, সমস্যাটি কমে না। সমস্যা যত দিন থাকবে, মুখের দুর্গন্ধও কমবে না।
* এসব ছাড়াও আরও নানা রকম কারণে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। তাই অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করেও ফল না পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। হয়তো অন্য কোনো শারীরির সমস্যা থেকে দুর্গন্ধের জন্ম।
* পানি সামান্য গরম করে, তাতে অল্প লবণ মেশান। তারপর সেই পানি কুলকুচি করে মুখ ধুয়ে নিন। পানি খুব বেশ গরম করবেন না। সেক্ষেত্রে মুখের অন্য ক্ষতি হতে পারে। অল্প গরম পানিতে লবন মিশিয়ে মুখ ধুলে, মুখের ভিতরের জীবাণু বাড়তে পারে না।
* মুখের আর্দ্র ভাব বজায় থাকলে দুর্গন্ধ কম হয়। তাই চিনি ছাড়া ক্যান্ডি বা চুয়িং গাম মুখে রাখতে পারেন। অথবা একেবারে ঘরোয়া দাওয়াই দারুচিনি বা লবঙ্গও রাখতে পারেন মুখের মধ্যে।