Monday, December 23
Shadow

ক্যারিয়ারের ২৬ বছরে ব্যক্তি শাবনূরের গল্প

শাবনূরেরশাবনূর বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ৯০ দশক থেকে এ পর্যন্ত আসা চিত্র তারকাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় চিত্র তারকা হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাকে। প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার এহতেশাম পরিচালিত চাঁদনী রাতে সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আগমন শাবনূরের। প্রথম ছবি ব্যর্থ হলেও পরে হার্টথ্রব নায়ক সালমান শাহের সাথে জুটি গড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান।

একে একে এ জুটি সুপারহিট ছবি দিতে থাকেন। সালমানের অকাল মৃত্যুতে সাময়িক ভাবে শাবনূরের ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়লেও তার চিরায়ত বাঙালি প্রেমিকার ইমেজ এবং অসাধারণ অভিনয় ক্ষমতা তাকে দর্শকদের হৃদয়ে শক্ত আসন গড়তে সাহায্য করে। পরে রিয়াজ, শাকিল খান, ফেরদৌস আহমেদ ও শাকিব খান সাথে জনপ্রিয় জুটি গড়ে বেশ কিছু জনপ্রিয় ছবি উপহার দেন।

শাবনূর ২০০৫ সালে মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত দুই নয়নের আলো ছবিতে অভিনয় করে তার ক্যারিয়ারের একমাত্র জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তিনি তারকা জরিপে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে রেকর্ড পরিমাণ ১০ বার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন। ক্যারিয়ারের ২৬ বছর পূর্ণ হয়েছে কিন্তু জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি।

শাবনূর ১৯৭৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর যশোর জেলার শার্শা উপজেলার নাভারণে জন্মগ্রহণ করেন। শাবনূরের পুরো নাম কাজী শারমিন নাহিদ নূপুর। পরিবারের মানুষরা তাকে নূপুর বলেও ডাকেন। চলচ্চিত্রে নাম লেখানোর সময় স্বনামধন্য নির্মাতা এহতেশাম এই নায়িকার নাম রাখেন শাবনূর।  শাবনূরের পিতার নাম শাহজাহান চৌধুরী। তিন ভাই বোনের মধ্যে সবচেয়ে বড় তিনি। বোন ঝুমুর এবং ভাই তমাল নিজ নিজ পরিবারসহ অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী।

২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী অনিক মাহমুদের সঙ্গে শাবনূরের আংটি বদল হয় এবং ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর তাকে বিয়ে করেন। এরপর তিনি অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস শুরু করেন ও নাগরিকত্ব লাভ করেন। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর শাবনূর প্রথম ছেলেসন্তানের মা হন। তার ছেলের নাম আইজান নিহান। একমাত্র ছেলে আইজান নিহানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে থাকেন শাবনূর। সেখানে ছেলেকে স্কুলে ভর্তিও করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!