Monday, December 23
Shadow

শীতের টিপস : গরম থাকুক ঘর

শীতের সময় ঘরের ঠাণ্ডা নিয়ে টেনশনে থাকি সবাই। তাই এবার জেনে নিন শীতের টিপস। ঘরকে রাখুন উষ্ণ।

শীতের টিপস : রোদ ধরে রাখুন

শীতের সময় দিন-রাত দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখতে অভ্যস্ত আমরা। অথচ ঘর গরম রাখা এবং বিশুদ্ধ বাতাসের জন্য শীতেও ভেন্টিলেশন খুব দরকার।  সকালে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ঘরের দরজা-জানালা খুলে দিনে। বিশেষ করে শীতের সময় ঘরের যে অংশে রোদ পড়ে, সেই দিকের দরজা-জানালা খুলে রাখুন। এখন বেশির ভাগ জানালার অর্ধেক অংশ খোলা যায়। শুধু খোলা অংশ নয়, জানালার বাকি অর্ধেক অংশের পর্দা সরিয়ে দিন।

সূর্যের আলো ও তাপের সর্বোচ্চ ব্যবহার পাবেন ঘরে। সম্ভব হলে জানালার বিপরীত দেয়ালে একটা আয়না বসান। সূর্যের আলো আয়নায় প্রতিফলিত হয়ে ঘরের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেবে এবং অনেকণ থাকবে।

শীতের টিপস : রাতেও উষ্ণতা

দুপুরের পরপর, অর্থাৎ ৩টা-সাড়ে ৩টার মধ্যে বন্ধ করে দিন সব দরজা-জানালা। এতে রাতে অনেক সময় পর্যন্ত ঘরে পাবেন উষ্ণতা। শীতে জানালায় ভারী পর্দা ব্যবহার করুন। ঘরের দেয়াল অনেক সময় ধরে তাপ ধরে রাখতে পারে না। তাই মাঝরাত থেকেই ঘর ঠাণ্ডা হতে শুরু করে। তাপ ধরে রাখতে দেয়ালে ওয়ালম্যাট হিসেবে ছোট কার্পেট বা শতরঞ্জি ঝোলাতে পারেন। এক্ষেত্রে বুকশেলফ ভালো সমাধান হতে পারে। যে দেয়ালে রোদ পড়ে, তাতে কাঠের বুকশেলফ রাখুন। শেলফে সাজিয়ে রাখা বইগুলো খুবই ভালো ইনসুলেটরের কাজ করে, ফলে ঘরের তাপমাত্রা থাকে আরামদায়ক। কিংবা ঘরের দেয়ালে লাগিয়ে নিতে পারেন ফয়েল কাগজ। বিভিন্ন গিফটশপে একটু মোটা কাগজ পাওয়া যায়। পছন্দের রং ও ডিজাইনের কাগজ লাগিয়ে নিন দেয়ালে।

শীতের টিপস : কার্পেট

মেঝেতে কার্পেট বা মাদুর বিছিয়ে নিন। জানালায় ভারি পর্দা লাগাতে পারেন। বাজারে নানা ধরনের পাটের ও সিনথেটিক কার্পেট পাওয়া যায়। এগুলো বিছিয়ে রাখলে মেঝের ঠাণ্ডাটা কম অনুভূত হবে।

শীতের টিপস : রঙে উত্তাপ

কিছু কিছু রং তাপ ধরে রাখতে সাহায্য করে। সম্ভব হলে শীতের শুরুতে ঘরে রং করিয়ে নিতে পারেন। কিংবা ঘরের ফ্যাব্রিকসের রং বদলেও কিছুটা উপকার পেতে পারেন। উজ্জ্বল রঙের পর্দা আর বেডকভার ব্যবহার করুন। লাল, কমলা, হলুদ, সোনালির মতো উজ্জ্বল রংগুলো ঘর খানিকটা গরম রাখবে, আবার সৌন্দর্যও বাড়িয়ে দেবে অনেকখানি। শীতে ঘরে লাইট বদলে ফেলতে পারেন। হলুদ আলোর বাল্ব ব্যবহার করা যায়। ঘরের কোণে স্ট্যান্ড আর টেবিল ল্যাম্প ব্যবহার করুন।

শীতের ঠাণ্ডা মোকাবিলা করতে প্রয়োজন ভারী কাপড়। থাই কটন, আদিবাসী সিল্কের মতো কাপড়গুলো রাখুন শীতের পর্দায়। গাঢ় শেডের পর্দা ঘর গরম রাখতে সাহায্য করবে।

বাড়িতে ক্রসভেন্টিলেশন থাকলে ঘরের মধ্যকার ভেন্টিলেটরটা কাগজ সেঁটে বন্ধ করে রাখতে পারেন। সরাসরি বাতাস চলাচলে বিঘœ হবে। ঘর ঠাণ্ডা কম হবে।

ঘর অতিরিক্ত ঠাণ্ডা হলে রুম হিটার ব্যবহার করতে পারেন।

ঘর গরম রাখতে অনেকে গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রাখেন। এর ফলে ঘরে অক্সিজেনের স্বল্পতা তৈরি হয় এবং দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। তাই এটা করা উচিত নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!