সুখী দেশের মানুষরা যেমন হন
বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ কারা? সুখী দেশের মানুষরা যেমন হন? ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টের তালিকায় স্ক্যান্ডিনেভিয়ার অঞ্চলের দেশগুলোর নামই বা প্রথম সারিতে থাকে কেন? এর গোপন রহস্যইবা কী? জেনে নিন সুখী মানুষদের জীবনযাত্রার কিছু কথা।
নিরাপদ দেশ ফিনল্যান্ড
স্ক্যান্ডিনেভিয়ার তিন দেশ- ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড ও নরওয়ের মানুষদের সুখী থাকার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। এর মধ্যে ফিনল্যান্ডে নাকি অপরাধের ঘটনা তেমন ঘটে না। অর্থাৎ কড়া নিরাপত্তার দেশ ফিনল্যান্ড। সমাজ ব্যবস্থাও ভালো। কাজেই সে দেশের বাসিন্দারা সবদিক দিয়েই নিরাপদ বোধ করেন এবং শান্তিতে থাকেন।
স্টিম বাথ
ফিনিশরা প্রতিদিনই স্টিম বাথ নেন, যা অনেকটা আমাদের গোসল করার মতো। এমনকি ফ্ল্যাট বাড়িগুলোতেও স্টিম বাথ করার ব্যবস্থা থাকে। ক্লান্তি দূর করতে ও মানসিক চাপ কমাতে স্টিম বাথ বিশেষভাবে সাহায্য করে।
প্রকৃতি আর প্রকৃতি
ফিনল্যান্ডের ৭০ভাগ এলাকা জুড়েই রয়েছে বন আর অরণ্য। আরো আছে ১৮,৮০০টি লেক যেখানে গোসল করা যায়। এছাড়াও মাছ ধরা, জলকেলি করাসহ পানিতে নানান বিনোদন ও খেলাধুলার সুযোগ রয়েছে। প্রকৃতির সংস্পর্শে এমনিতেই মানুষ আনন্দে থাকে।
ফিনিশরা সহনশীল
যে যেমন তাকে সেরকমই থাকতে দেয় বা থাকতে পারে, অন্যরা তা নিয়ে মাথা ঘামায় না। আর এই মানসিকতাই ফিনল্যান্ডের জনগণের। তাঁরা হাসি-ঠাট্টা করতে যেমন ভালোবাসেন, তেমনি নিজের ইচ্ছে মতো চলতেও পছন্দ করেন।
হৈচৈ আর একসঙ্গে থাকাই পছন্দ নরওয়েজিয়ানদের
নরওয়ের জনগণ হৈচৈ, আনন্দ আর মজা করতে ভালোবাসেন। তাঁরা মনে করেন, চাকরির জন্য বেঁচে থাকা নয়, জীবনকে আনন্দময় করার জন্যই চাকরি করা। তাছাড়া নরওয়েতে প্রায় সবাই স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কোনো না কোনো কাজ করে থাকেন। অন্যকে সাহায্য করার মধ্য দিয়ে তাঁরা নিজেরাও সুখী হন, পান মানসিক শান্তি।
ডেনিশরা পারফেক্ট হতে চান না
জীবনে যা যেভাবে আসে, তাঁরা তা সেভাবেই গ্রহণ করেন, আর এটাই নাকি ডেনিশদের সুখী থাকার একটি বড় কারণ। অতিরিক্ত গোছগাছ, ফিটফাট আর টিপটপ থাকায় তাঁরা অভ্যস্ত নন। জলের সামনে বসে ঢেউ গোনা কিংবা প্রকৃতি উপভোগ করা ডেনমার্কের মানুষদের অন্যতম পছন্দের বিষয়।
-ডিডাব্লিউ থেকে