হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ১ মাস পূর্বে শরীরে যে ৬টি লক্ষণ দেখা দেয়
পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ৬ লক্ষ্যেরও বেশি লোক হার্ট অ্যাটাক করে মারা যাচ্ছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। গত ৩০-৪০ বছরের তুলনায় এদেশে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০% বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ একটু সতর্ক হলেই এর মধ্যে অর্ধেক মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।
হার্ট অ্যাটাক হওয়ার অন্তত এক মাস আগে শরীরে কিছু লক্ষণ দেখা দেয় যা আমরা অনেকেই জানি না। এগুলো দেখা দিলে সাথে সাথে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে অনেক রোগীকে বাঁচানো সম্ভব। চলুন তাহলে লক্ষণগুলো জেনে নেই-
হার্ট অ্যাটাকের ৬টি পূর্বলক্ষণ
বুকে চাপ অনুভূত হওয়া
হার্ট অ্যাটাক একদিন হঠাৎ করে হয়ে যায় না। এর আগে বুকে চাপ ও ব্যথা সৃষ্টি করে বার বার আপনাকে সতর্ক করার চেষ্টা করে। তাই ঘন ঘন বুকে প্রচণ্ড চাপ ও ব্যথা হতে থাকলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।
সর্দি-কাশি বা ফ্লু লেগে থাকা
হৃদরোগের সমস্যা বাড়তে থাকলে শরীরে সর্দি-কাশি লেগেই থাকে। কোনো ভাবেই এটা দূর করা সম্ভব হয় না।
নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা
হার্ট অ্যাটাক হয়ে মারা গেছেন এমন রোগীর মৃত্যুর কয়েক দিন আগের কথা চিন্তা করলে দেখতে পারবেন যে তার নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হতো। হৃদরোগ থাকলে শরীরের শিরা ও ধমনীর ভেতরে প্লাক জমা হতে থাকে। যার ফলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতাও ব্যাহত হয়।
শরীর দুর্বল
শরীর অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে। মাংসপেশীতে শক্তিই থাকে না। এমনকি বিছানায় বসে থাকতেও কষ্ট হয়।
মাথা ঘুরানো এবং শরীর ভিজে যাওয়া
শরীরের রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা হলে শরীর ভিজে যায় এবং মাথা ঘুরাতে থাকে। হৃদরোগের কারণে শিরা ও ধমনীর মধ্যে দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে রক্ত সঞ্চালিত হতে পারে না। এরকম দেখা দিলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
অবসাদ
যখন শরীরের ধমনীর মধ্য দিয়ে রক্ত স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে পারেনা তখন আমাদের হৃৎপিণ্ড স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি কাজ করে। যার ফলে শরীর সব সময় দুর্বল থাকে। এরকম অবসাদ দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।