সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় ১৫ সেপ্টেম্বর দিল্লি পুলিশের জেরার মুখে পড়েন নোরা ফাতেহি। সেদিনই একই মামলায় জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল তদন্তকারীরা। জেরা করা হয় পিঙ্কি ইরানিকেও। ‘প্রতারক’ সুকেশের সঙ্গে জ্যাকুলিনের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন পিঙ্কি।
সুকেশের কাছ থেকে কোন কোন উপহার পেয়েছেন নোরা, তা জানতে চাইবেন তদন্তকারীরা। এর আগে ২ সেপ্টেম্বর নোরা ফাতেহি কে এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল দিল্লি পুলিশ। দুই বয়ান এবার মিলিয়ে দেখা হবে।
দিল্লি পুলিশের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, ‘নোরাকে আগেই জেরা করা হয়েছে, তবে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। সেসব নিয়েই আবার প্রশ্ন করা হবে তাকে। ইরানির বক্তব্যেও কিছু অসঙ্গতি রয়েছে, তাই নোরা ফাতেহি এবং তাকে মুখোমুখি বসিয়ে প্রশ্ন করাটা জরুরি’।
পুলিশের ধারণা, এই গোটা কেলেঙ্কারিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন পিঙ্কি।
‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট’-এর আওতায় ইডি আধিকারিকদের সামনে আগেই বয়ান নথিভুক্ত করেছেন নোরা, তবু বিতর্ক পিছু ছাড়েনি তার।
উল্লেখ্য, গত মাসেই এই আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জ্যাকুলিনকে অভিযুক্ত হিসেবে পেশ করেছে ইডি।
দিল্লি হাইকোর্টে পেশ করা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট জানিয়েছে, জেলবন্দি সুকেশ চন্দ্রশেখরের থেকে লাভবান হয়েছেন জ্যাকুলিন। তার অতীত জেনেও কেবল টাকার লোভে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন জ্যাকুলিন, দাবি ইডির। এমনকি ওয়েব সিরিজ লেখকের পারিশ্রমিক পর্যন্ত সুকেশের কাছ থেকে আদায় করেছিলেন নায়িকা।
অন্যদিকে ইডিকে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের কাছ থেকে বলিউডের অনেক তারকাই উপহার নিয়েছেন, তাহলে তার দিকে আঙুল উঠছে কেন?
মূলত নোরার দিকেই ইঙ্গিত করেন জ্যাকুলিন। যদিও এখন পর্যন্ত নোরা ফাতেহিকে এই মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেনি তদন্তকারীরা।
সরকারি অফিসার সেজে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা হাতিয়েছেন সুকেশ চন্দ্রশেখর। ২০২১ সালে ইডির হাতে গ্রেফতার হন তিনি ও তার স্ত্রী লীনা মারিয়া পাল।
গ্রেফতারের পরই সুকেশের সঙ্গে জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের ঘনিষ্ঠতার কথা প্রকাশ্যে আসে। তদন্তকারীদের সুকেশ জানান, অভিনেত্রীকে ৫.৭১ কোটি টাকার উপহার দিয়েছিলেন তিনি। অভিনেত্রীর পরিবারের লোকজনকেও কোটি কোটি টাকা দিয়েছেন।
যদিও নায়িকা সে কথা অস্বীকার করেছেন, তবে দুজনের ফাঁস হওয়ার ঘনিষ্ঠ ছবি সুকেশের দাবিকেই সত্যি প্রমাণ করছে।