অমিতাভ রেজা পরিচালিত, চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্র পায় দারুণ জনপ্রিয়তা। ছবিতে দেখা যায়, চঞ্চল চৌধুরী অন্যের হয়ে জেল খাটেন। সিনেমাটির রেশ কাটতে না কাটতেই সত্যি সত্যি এ ঘটে ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে।
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান সেজে আদালতে জামিন নিতে এসে ধরা পড়েন মেয়রের আস্থাভাজন যুবলীগ কর্মী নূরে আলম মোল্লা। এবার জামিন পেলেন ‘আয়নাবাজি’ করা সেই ভুয়া মেয়র নূরে আলম মোল্লা।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী তার জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাজধানীর কোতোয়ালি থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা সাফায়েত আহম্মেদ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র ও গাজীপুর জেলার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান ৯ দিনের সরকারি সফরে ইন্দোনেশিয়া যান। তার বিদেশ যাওয়ার পরের দিন ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় মেয়রের নাম-ঠিকানা দিয়ে তার নিকটাত্মীয় নূরে আলম আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ১০ সেপ্টেম্বর আদালত জানতে পারে নূরে আলম মোল্লা আসল মেয়র না। ওইদিনই তাকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে ভুয়া মেয়র নূরে আলম মোল্লা বলেছিলেন, মেয়র আমাকে বলেন আমি ইন্দোনেশিয়া যাচ্ছি। তুই আমার মামলার বিষয়ে ব্যবস্থা করিস। তাই আমি আদালতে এসে তার নামে আত্মসমর্পণ করি। আমি মেয়রের মামলার বিষয়ে দেখাশোনা করি। মেয়রের অনুপ্রেরণায় আমি তার নামে আত্মসমর্পণ করেছি।