সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) সাধারণ ক্ষমার আওতায় তিন মাসের জন্য যেসব দেশ সুবিধা পাচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর শ্রমিক ভিসা পেতে আবেদন করছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ভিসা পেতে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ দূতাবাসও।
আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান এনটিভিকে এমনটাই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সাধারণ ক্ষমার আওতায় যেসব দেশ সুবিধা পাচ্ছে, তার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। তাই অন্য দেশের অভিবাসীদের মতো বাংলাদেশিরাও সুবিধা ভোগ করবে। এ ছাড়া প্রবাসী শ্রমিকদের বাড়তি চাপ মোকাবিলায় দূতাবাস ও কনস্যুলেটে সেবা বাড়ানোর আশ্বাস দেন তিনি।
মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘এখানে যেহেতু সংখ্যা বেড়ে গেছে এখন আমাদের… সেবাপ্রার্থীর সংখ্যা, আমরা নির্দিষ্ট সময় ভাগ করে দিয়েছি, যে আপনার এই সেবার জন্য এই সময় আসতে হবে এবং এটা আমাদের দূতাবাসের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় আমরা এটা পোস্টার হিসেবে দিয়ে দিয়েছি।’
এদিকে, মাত্র তিন মাস সময়ের বাধ্যবাধকতায় বাংলাদেশিদের শ্রমিক ভিসা পেতে দূতাবাসকে আরো উদ্যোগী হতে আহ্বান জানিয়েছেন আমিরাতের বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মোয়াজ্জেম হোসেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যে অফিসগুলা আছে, এগুলাতে সেপারেট কোনো কাউন্টার যদি খোলা থাকত শুধু যে তাদের বোঝানোর জন্য যে এ কাগজগুলো আপনাদের এখানে আসবে, না হলে আপনারা সরে যান বা এখান থেকে চলে যান; কাগজগুলা রেডি করে পরের দিন আসেন। তাহলে হয়তো বা ভিড়টা একটু কম হইত এবং সার্ভিসের মান যেটা আছে, আরো কিন্তু একটু উন্নত করা সহজ হইত বলে আমি মনে করি।’
আমিরাতের বাংলাদেশ দূতাবাস ও দুবাইয়ের কনস্যুলেটে প্রতিদিন তিন-চার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি সেবা নিতে এলেও সর্বোচ্চ সেবা পাচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ প্রবাসী। এ জন্য সেবা নিতে বারবার ভিড় করতে হয় ভুক্তভোগীদের।
প্রবাসী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘আমরা এমবাসির পক্ষ থেকে একটু হয়রানির শিকার বা ডিউ টাইমে যেটা সার্ভিস, ওই সার্ভিসটা আমরা ঠিকমতো পাচ্ছি না।’
এ ছাড়া দুবাই কনস্যুলেট সংলগ্ন কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও করছেন কমিউনিটির নেতারা।