চীনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই শিক্ষার ওপর জোর দিচ্ছে, চালু করছে নতুন এআই অনুষদ এবং সংযোজন করছে আরও বিস্তৃত কোর্স ও পাঠ্যপুস্তক। চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভবিষ্যতের এআই বিশেষজ্ঞ তৈরি করাই এসব কলেজের লক্ষ্য।
সিংহুয়ার নতুন উদ্যোগ
চীনের অন্যতম শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় সিংহুয়া ঘোষণা দিয়েছে, ২০২৪ সালে ১৫০টি নতুন আসন যুক্ত করবে এবং একটি স্বতন্ত্র এআই অনুষদ চালু করবে। বিশ্ববিদ্যালয়টি জানায়, এ উদ্যোগের লক্ষ্য এআই সংশ্লিষ্ট পেশাদার প্রশিক্ষণ জোরদার করা এবং চীনের উচ্চ পর্যায়ের প্রযুক্তিগত স্বনির্ভরতা নিশ্চিত করা।
বিপুল চাহিদা
চীনের ডিজিটাল শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক ওয়াং শুয়েনান জানান, ২০২৩ সালে এআই অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ছিল ৪০ হাজার, যা শিল্পখাতের চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।
মার্কিন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ম্যাকিনসি অ্যান্ড কোম্পানি পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে চীনে ৬০ লাখ দক্ষ এআই বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্মিলিত উদ্যোগ
২০২৩ সালের নভেম্বরে বেইজিং ইনস্টিটিউট ফর জেনারেল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, পিকিং ইউনিভার্সিটি ও শাংহাই চিয়াও থোং ইউনিভার্সিটিসহ ১৫টি শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় একসঙ্গে সমন্বিত এআই গবেষণা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করেছে।
এই কর্মসূচির লক্ষ্য স্নাতক পর্যায় থেকে পিএইচডি পর্যন্ত একটি সংযুক্ত প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা তৈরি করা, যাতে শিক্ষার্থীরা গবেষণার শুরু থেকেই এআইতে দক্ষ হয়ে উঠতে পারে।
অনলাইন কোর্স ও এআই-সংযুক্ত শিক্ষা
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নানখাই ও থিয়েনচিন বিশ্ববিদ্যালয় ম্যাসিভ ওপেন অনলাইন কোর্স (এমওওসি) চালু করে, যেখানে ১ লাখেরও বেশি আন্ডারগ্র্যাজুয়েটের জন্য এআই-সংক্রান্ত প্রাথমিক ও উন্নত বিষয় শিখতে পারছে।
এআই প্লাস এক্স
২০২৪ সালের মার্চ মাসে চ্যচিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়, ফুতান বিশ্ববিদ্যালয়, নানচিং বিশ্ববিদ্যালয় ও শাংহাই চিয়াও থোং ইউনিভার্সিটি যৌথভাবে ‘এআই প্লাস এক্স’ মাইক্রো প্রোগ্রাম চালু করেছে।
এই প্রোগ্রাম এআইকে মানবিক বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, কৃষি, চিকিৎসা ও প্রকৌশলের মতো বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করে, যাতে এআই শুধু প্রযুক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বাস্তব জীবনের নানা সামাজিক সমস্যা সমাধানেও ভূমিকা রাখতে পারে।
সূত্র: সিএমজি বাংলা