জার্মানির ডাড স্কলারশিপে পড়তে চাইলে : All about Daad Scholarship for Bangladeshi Students - Mati News
Friday, December 5

জার্মানির ডাড স্কলারশিপে পড়তে চাইলে : All about Daad Scholarship for Bangladeshi Students

ডাড ( জার্মান ভাষায় যা পূর্ণরূপে DAAD: Deutscher Akademischer Austauschdienst এবং ইংরেজিতে German Academic Exchange Service) হল ইউরোপের প্রধান স্কলারশিপগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। শুধুমাত্র জার্মানিতেই এই স্কলারশিপ প্রদান করা হয়ে থাকে। উচ্চতর শিক্ষা এবং গবেষণার জন্য এই স্কলারশিপ মুলত মাস্টার্স, ডক্টরাল এবং পোস্টডক আবেদনকারীদের জন্য বরাদ্দ হয়ে থাকে। পৃথিবীর সকল দেশের আবেদনকারীরা বিভিন্ন স্কলারশিপ প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারে।

তবে কিছু দেশের ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম প্রদান করা হয়। তবে এখানে শুধুমাত্র মাস্টার্সের স্কলারশিপে আবদনের ব্যাপারে তথ্য সরবরাহ করা হবে। কারণ ডাড স্কলারশিপের অধ্যয়ণের ক্ষেত্র

বিবেচনা করে আবেদন প্রক্রিয়া কিংবা তথ্য সরবারাহ করা কিছুটা সময় সাপেক্ষ। মাস্টার্সে কিভাবে স্কলারশিপ পাওয়া যাবে, তার তথ্য ও রেফারেন্স (লিংক) সহ এ বিষয়ে খুব সহজ করে তুলে ধরা হলো।

This is all about Germany's Daad scholarship in Bangla for Bangladeshi students who are willing to go germany with Daad scholarship.

Daad Scholarship এ অধ্যয়নের সুযোগ যেসব বিষয়ে

আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের মাস্টার্সের স্কলারশিপের ক্ষেত্র বিবেচনা করলে ডেভেলপমেন্ট রিলেটেড পোস্টগ্রাজুয়েট কোর্সগুলো বিবেচনা করা হয়, যা DAAD-EPOS নামে পরিচিত। এই DAAD-EPOS পোস্টগ্রাজুয়েট কোর্সগুলোকে তালিকা অনুযায়ী কয়েকটি স্টাডি ক্ষেত্রের অধীনে বিবেচনা করা হয়। যেমন- ১. ইকোনমিক সায়েন্স/ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন/পলিটিক্যাল ইকোনমিকস, ২. ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন ৩. ইন্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিলেটেড সায়েন্স, ৪. রিজিওনাল অ্যান্ড আরবান প্ল্যানিং, ৫. অ্যাগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফরেস্ট সায়েন্স, ৬. ন্যাচার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ৭. মেডিসিন/পাবলিক হেলথ্, ৮. সোশ্যাল সায়েন্স, এ্যাডুকেশন অ্যান্ড

ল ৯. মিডিয়া স্টাডিজ। এইসব স্টাডি ক্ষেত্রের অধীনে সর্বমোট ৪৫টি কোর্স রয়েছে। যা থেকে আপনার পছন্দের কোর্সটি/কোর্সগুলো বেছে নিয়ে আবেদন করতে পারেন। 

DAAD Scholarship এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং আবেদনের যোগ্যতা

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নির্ভর করে নির্দিষ্ট প্রোগ্রামের চাহিদার ওপর এবং কান্ট্রি অব রেসিডেন্সের উপর। তবে প্রায় সব ক্ষেত্রেই ২ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা, সুপারিশপত্র (বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক কর্তৃক অথবা উচ্চতর কর্মকর্তা কর্তৃক অফিশিয়াল পত্র স্বাক্ষরিত), লেটার অব মোটিভেশন অথবা স্টেটমেন্ট অব পারপাস, ইউরোপাস ফরমেটেড কারিকুলাম ভাইটে (CV), স্নাতক ডিপ্লোমার সনদ এবং ট্রান্সক্রিপ্ট অব রেকর্ডস, পাসপোর্ট, ভাষাগত যোগ্যতার সনদ ইত্যাদি অবশ্যই লাগবে। তা ছাড়া কিছু ক্ষেত্রে এক্সট্রা কারিকুলার, কো-কারিকুলার সনদ অতিরিক্ত মান যুক্ত করে। অবশ্যই প্রোগামের সাথে সম্পর্কিত চাকরির অভিজ্ঞতা স্কলারশিপ পেতে অনেক সহায়তা করে। ভাষাগত দক্ষতার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস ব্যান্ড স্কোর কমপক্ষে ৬.০ অথবা টোফেল (মিনিমাম স্কোর পেপার বেইসড ৫৫০, কম্পিউটার বেইসড ২১৩, ৮০ ইন্টারনেট বেইসড) থাকতে হবে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে আবেদনকারীর স্টাডি গ্যাপ ৬ বছরের হলে আবেদন করতে পারবে না। কোনো কোনো প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত রিসার্চ প্রপোজাল চাওয়া হয়। তা ছাড়া প্রতিটি প্রোগ্রামের জন্য ডাড অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম পুরন করতে হয় যা প্রতিটি ওয়েবসাইটের চেকলিস্ট অপশনে দেয়া থাকে। প্রায়োরিটি অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৩টি প্রোগ্রামে আবেদন করা যায়।

ডাড স্কলারশিপের সুযোগ-সুবিধা

স্টাডি প্রোগ্রামের উপর বিবেচনা করে মাসিক বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। যেমন মাস্টার্সের জন্য

৯৩৪ ইউরো অথবা ডক্টরাল আবেদনকারীদেরজন্য কমপক্ষে ১২০০ ইউরো বরাদ্দ থাকে। যদিও তা নির্ভর করে ইউনিভার্সিটি, রিসার্চ ইন্সটিটিউট, প্রজেক্ট সময়কালের (১২-৪২ মাস) উপর। স্বাস্থ্যগত কিংবা দুর্ঘটনাজনিত বিমা, বিভিন্ন শিক্ষা ভ্রমন/গবেষণার জন্য ভ্রমন/ কনফারেন্সে যোগদানসহ বিভিন্নভাবে ট্রাভেল ভাতাও এই স্কলারশিপ থেকে প্রদান করা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শর্ত সাপেক্ষে অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করে থাকে, যেমন- মাসিক রেন্ট সাবসিডি, পরিবারের সদস্য যদি কেউ সাথে থাকে তার জন্য কিছু ভাতা প্রদান করে থাকে।

পড়াশোনা শেষে সুযোগ-সুবিধা

পড়াশোনা শেষ করার পর অনেকে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা অর্গানাইজেশনের অধীনে পিএইচডি ডিগ্রিতে যোগদান করেন। যেখানে চাকরির মতোই অনেকে পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। জার্মানিতে এ রকম লম্বা সময় নিয়ে চাকরি করলে নিয়মকানুন অনুযায়ী নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। আবার দেশে প্রত্যাবর্তন করে অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অথবা নামকরা রিসার্চ অর্গানাইজেশনে গবেষক হিসেবে যোগদান করেন।

ডাড স্কলারশিপের আবেদন প্রক্রিয়া এবং সময়সীমা

আবেদন প্রক্রিয়া সম্পুর্ন নির্ভর করে নির্দিষ্ট প্রোগ্রামের ইউনিভার্সিটির আবেদন প্রক্রিয়ার উপর। নিজস্ব অর্থায়নে শিক্ষার্থীদেরকে প্রায় সব ক্ষেত্রেই ইউনি অ্যাসিস্ট এর মাধ্যামে আবদেন করতে হয়। কিন্তু ডাড স্কলারশিপে আবেদনের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ অনলাইনেই আবেদন করতে হয়। যেখানে আবেদন করতে কোনো টাকা লাগে না। কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরিয়ার অথবা ইমেইলের মাধ্যমে সংযুক্ত করে আবেদন করা যায়। 

Daad Scholarship এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ লিংকসমূহ:

এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিংক সরবরাহ করা হল যেখান থেকে আপনি সমস্ত পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্সের

সময়সীমা সহ পিডিএফ আকারে তালিকা পাবেন। যেখানে নির্দিষ্ট প্রোগামের নাম এবং সংশ্লিষ্ট

বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পাবেন। প্রতিটি প্রোগ্রামের নামের সাথে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট সংযুক্ত করা

থাকে, যেখানে ক্লিক করার মাধ্যমে আপনি প্রকৃতভাবে সকল তথ্য পেতে পারেন।

১. স্কলারশিপ তথ্য:

https://www.daad.de/en/study-and-research-in-germany/scholarships

daad.de/go/en/stipa50076777

২. বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রাম ডিটেইলস:

pdf: https://static.daad.de/media/daad de/pdfs nicht barrierefrei/in-deutschland-

studieren-forschen-lehren/daad epos bewerbungsdeadlines 2024-25.pdf

৩. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

https://static.daad.de/media/daad de/pdfs nicht barrierefrei/in-deutschland-

studieren-forschen-lehren/epos checkliste.pdf

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *