পাকা হোক বা কাঁচা, দুই অবস্থাতেই কলা আমাদের খাদ্যতালিকার অন্যতম উপাদান। কলা খাওয়ার উপকারিতা আমরা কম-বেশি সকলেই জানি। কলা এমন একটি ফল, যা পেট ভরায়, পুষ্টিগুণ জোগায়, শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে।
কিন্তু জানেন কি, শুধু কলা নয়, কলার খোসারও নানা গুণাবলি রয়েছে। গৃহস্থালির কাজ থেকে শুরু করে শরীরচর্চা— এর ভূমিকা অনস্বীকার্য।
খাদ্য: কাঁচা কলার খোসা ফেলে না দিয়ে কুচিয়ে ভাপিয়ে নিন। সঙ্গে অল্প কালো জিরে, গোল মরিচ গুঁড়ো, পিঁয়াজ, রসুন ও তেল দিয়ে রান্না করে ফেলুন চমৎকার ভর্তা। এর সঙ্গে কুচো মাছ বা ছোট চিংড়িও যোগ করতে পারেন।
জুতোর যত্ন: জুতোর জেদি দাগ তুলতেও কলার খোসাকে ব্যবহার করা যায়। পাকা কলার খোসার ভিতরের অংশ জুতোর উপরে ঘষুন কিছু ক্ষণ। তার পর পাতলা কাপড় দিয়ে মুছে নিন জুতো। জুতো সহজেই চকচকে হবে।
দাঁতের ঔজ্জ্বল্য: দাঁতের হলুদ ভাব কাটাতেও কলার খোসা কাজে লাগে। প্রতি দিন সকালে মুখ ধুয়ে কলার খোসার ভিতরের অংশ দাঁতে ঘষুন কিছু ক্ষণের জন্য। এর পর নিয়মিত টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজুন। এই উপায়ে সপ্তাহ খানেকেই দাঁত হয়ে উঠবে ঝকঝকে সাদা।
ত্বকের যত্ন: ত্বকের যত্নে এই খোসা অত্যন্ত উপযোগী। কলার খোসা বেটে তার সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে মুখে ঘষুন। মুখের কালো দাগ বা বলিরেখা দূর হবে সহজে। ত্বককে মসৃণ করতেও কলার খোসা অত্যন্ত দরকারি। শুষ্ক ত্বকে কলার খোসার ভিতরের অংশ লাগিয়ে রাখুন। কিছু ক্ষণ পর শুকিয়ে এলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক মোলায়েম হবে।