আমি লেসবিয়ান নই, জীবনে কখনও ড্রাগ নিইনি : তনুশ্রী দত্ত - Mati News
Sunday, December 14

আমি লেসবিয়ান নই, জীবনে কখনও ড্রাগ নিইনি : তনুশ্রী দত্ত

তনুশ্রী দত্ত বনাম রাখি সবন্ত।#মিটু বিতর্কে টিনসেল টাউনের শিরোনামে এখন দুই অভিনেত্রী। দিন কয়েক আগে রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে তনুশ্রীকে আক্রমণ করেছিলেন রাখি। শনিবার রাতে সেই অভিযোগ উড়িয়ে রাখিকে পাল্টা আক্রমণ করলেন তনুশ্রী।

রাখি অভিযোগ করেছিলেন, তনুশ্রী তাঁর সম্মানহানি করেছেন। রাখির কথায়, “তনুশ্রী সমকামী। ও বিশ্রী ভাবে আমার শরীরে হাত দিত। রেভ পার্টিতে ড্রাগ নিত।’’ রাখির এই অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন তনুশ্রী। বলেছেন, তিনি কখনই সমকামী ছিলেন না। সিগারেট বা মদ খান না তিনি। রাখির নাম না করে তাঁকে, ‘বিকৃত চরিত্রের এক মহিলা যিনি পুরুষতন্ত্রের প্রতিনিধি’, বলে উল্লেখ করেন তনুশ্রী।

দিন কয়েক আগে বর্ষীয়ান অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেন তনুশ্রী দত্ত। সেই অভিযোগের পর গোটা দেশে শুরু হয়েছে ‘#মিটু’ ঝড়।

অনেকেই তনুশ্রীকে সমর্থন করেছেন, ভাগ করে নিয়েছেন নিজের হেনস্থার অভিজ্ঞতাও। কেউ চুপচাপ এড়িয়ে গিয়েছেন। কিন্তু প্রথম থেকেই তনুশ্রীর বিরোধিতা করে আসছেন রাখি সবন্ত।

এ জন্য রাখির বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন তনুশ্রী। পাল্টা তনুশ্রীর বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করার কথা বলেছেন রাখিও। এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন করে রাখি অভিযোগ করেন, তনুশ্রী একজন সমকামী এবং তিনি নাকি রাখিকে ধর্ষণও করেছেন।

তনুশ্রী

রাখির দাবি, “১২ বছর আগে তনুশ্রী আমার প্রিয় বন্ধু ছিল। বিভিন্ন রেভ পার্টিতে আমরা যেতাম। সেখানে তনুশ্রী প্রচুর ড্রাগ নিত। আমাকেও ড্রাগ নিতে বাধ্য করত। ও আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় খারাপ ভাবে হাত দিত। বলিউডে অনেক সমকামী রয়েছে। তনুশ্রীও সমকামী।’’

এর পরিপ্রেক্ষিতেই শনিবার তনুশ্রী বলেন, ‘‘আমি একেবারেই মাদকাসক্ত নই, সিগারেট ও মদ খাই না। আমি অবশ্যই সমকামী নই। আমি এমন একজন নারী যাকে এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের আবর্জনার কীটরা নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েও পেরে উঠছে না। তারপরও বিকৃত চরিত্রের কেউ নিজের চরিত্র বিসর্জন নিয়ে আমাকে চুপ করানোর চেষ্টা করে চলেছে প্রতিনিয়ত। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন, যা সমাজের মনোভাব পরিবর্তন করতে পারে সেটি যেন ব্যঙ্গ-মশকরায় পরিণত না হয়।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *