ভারত মহাসাগরের বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট চলমান ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ এরইমধ্যে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশ ও উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করেছে। তবে ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘তিতলি’ কেন সেই প্রশ্ন এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। শুধু ‘তিতলি’ নয় বিশ্বের সকল ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ হয় একটি নিয়ম মেনে। চলুন জেনে নেয়া যাক কী নিয়ম মেনে এই নামকরণ করা হয়।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা’র আঞ্চলিক কমিটি নির্ধারণ করে সকল ঘূর্ণিঝড়ের নাম। আর ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যেসব ঘূর্ণিঝড় হয় সেগুলোর নামকরণ করা হয় এস্কেপ (ESCAP) নামের একটি প্যানেলের প্রস্তাবনার ভিত্তিতে। ওই প্যানেলে রয়েছে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা এবং ওমান।
এই অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য ২০০০ সালে প্রথম প্রস্তাবনা আনা হয়। সেই প্রস্তাবনায় সিদ্ধান্ত হয় প্রতিটি দেশ থেকে ১০টি করে নাম জমা নেয়ার। সেগুলো দিয়ে তৈরি করা তালিকা থেকেই প্রতিটি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়। ঘূর্ণিঝড় যেহেতু মৃত্যু ও ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত, তাই কোনো নাম পুনরাবৃত্তি করা হয় না।
সেই তালিকা অনুযায়ীই এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়েছে ‘তিতলি’। ‘তিতলি’ নামটির প্রস্তাব এসেছে পাকিস্তানের কাছ থেকে। হিন্দি ভাষার শব্দ ‘তিতলি’ অর্থ ‘প্রজাপতি’। পরবর্তীতে যেই ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হবে সেটিরও নামকরণ এরইমধ্যে করা হয়েছে। পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে দাস। এই নামটি শ্রীলঙ্কার দেয়া।