class="post-template-default single single-post postid-20403 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

কাউকে কষ্ট দেয়া আমার উদ্দেশ্য ছিল না : নুহাশ হুমায়ূন

নুহাশ হুমায়ূন
নুহাশ হুমায়ূন

সম্প্রতি একটি মোবাইলসেট কম্পানির বিজ্ঞাপন তৈরি করএ সমালোচনার মুখে পড়েছেন নুহাশ হুমায়ূন ।

মোবাইল সেটের বিজ্ঞাপনে পাহাড়ের একটি প্রত্যন্ত এলাকা দেখানো হয়েছে। ৩ মিনিট ৮ সেকেন্ডের এই বিজ্ঞাপনের ফিল্মে দেখানো হয়— রমজানে সেহরি ও ইফতারের সময় জানার কোনও ব্যবস্থা না থাকায় একজন পাহাড়ি ছেলে দোকানে আজান শুনে দৌঁড়ে দৌঁড়ে পুরো পাড়ার সবাইকে জাগায়। সেখানে একজন জেগে উঠে বের হয়ে এসে তাকে ধমক দিয়ে বলেন, ‘আমি হিন্দু।’ আর সেই পাহাড়ি ছেলেটির বাঙালি নাম রাফি। অনেক ‘অসঙ্গতি’তে ভরা এই বিজ্ঞাপন নিয়ে- এমনটা মনে করছেন সমালোচকরা।

তবে এ বিষয়ে নিয়ে মুখ খুলেছেন নুহাশ। তিনি বিজ্ঞাপনের ওই গল্পকে বন্ধনের গল্প হিসেবে উল্লেখ করে ফেসবুক হ্যান্ডেলে বলেন, আমার নির্মিত নতুন একটা বিজ্ঞাপন নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। আমি এরসাথে কিছু যোগ করতে চাই। এই বিজ্ঞাপনটি আমি নির্মাণ করেছি কিন্তু এটার মুল ভাবনা আমার ছিল না। থার্ড পার্টি যখন কনসেপ্টটা-টা দেয়, আমার কাছে ভাল লাগে। কনসেপ্টটা হলো পরিবার নিয়ে। একটা প্রত্যন্ত গ্রাম। যেখানে মুসলিমরা হলো সংখ্যালঘু। এটা রমজান মাসের উপর ফোকাস করা একটা বিজ্ঞাপন। কিন্তু এর মূল ভাবনা শুধু রমজানের রোজা রাখায় সীমাবদ্ধ না। এটা একাত্মতা আর বন্ধনেরও গল্প। আমার কাজটি যেন বাস্তবসম্মত হয়, তাই আমি আমার টিমে এথনিক কমিয়্যুনিটি থেকে প্রতিনিধি রেখেছিলাম।

দুঃখ প্রকাশ করে নুহাশ হুমায়ূন বলেন, যেহেতু বিজ্ঞাপনের প্রথমে লেখা দেখায়-‘A Nuhash Humayun Film’, তাই পরিচালক হিসাবে এর সব দায়িত্ব আমারই। এই বিজ্ঞাপনটা আমিই নির্মাণ করেছি, গল্পটাও আমার পছন্দ হয়েছে, এর স্ক্রিপ্ট আমি পরিমার্জন করেছি, যেই সোর্স থেকে তথ্য পেয়েছি –তাও বিশ্বাস করেই ব্যাবহার করেছি। এই বিজ্ঞাপনের সব দায়দায়িত্ব মাথায় নিয়েই, আমি গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি তাদের কাছে, যারা বিজ্ঞাপনটি দেখে কোনওভাবে কষ্ট পেয়েছেন অথবা যাদের কাছে মনে হয়েছে আমি চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছি। আমি বিনীত ভাবে জানাতে চাই, কাউকে কষ্ট দেয়া বা আঘাত করা কখনই আমার উদ্দেশ্য ছিলনা।

সমালোচনা ভবিষ্যতে দায়িত্ববান ও যত্নশীল করে তুলবে এমন বিশ্বাস নিয়ে নুহাশ হুমায়ূন বলেন, তাঁকে চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আর সমস্যা মিডিয়াতে তেমনভাবে সামনে আসেনা। আমরা সেইসব গুরুত্বপূর্ণ জিনিসকে বাদ দিয়ে বিজ্ঞাপনটা নির্মাণ করেছি খুব সরলীকরণ করে, দেখে ভাল লাগবে এমন একটা গল্প নিয়ে। যেখানে অবশ্যই আগে চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সেইসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে আসা প্রয়োজন ছিল। অনেক মানুষ আমাকে তাদের মতামত জানাচ্ছেন। কিছু ভাল, কিছু খারাপ আর কিছু বেশ কঠিন। অবশ্যই এইসব মতামত আমাকে নির্মাণের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে আরো অনেক দায়িত্ববান ও যত্নশীল করে তুলবে।

সমালোচনায় পরিবারকেও টেনে আনা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি এটাও দেখলাম অনেকেই এখানে টেনে আনছেন আমার পরিবারকে, ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করছেন আমাকে, যেই ছেলেটি বিজ্ঞাপনের প্রধান ভুমিকায় অভিনয় করেছেন-তাকেও নোংরা ভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। এইসব ঘৃণা প্রকাশ মূল বিষয়ের সাথে সংগতিহীন । এই বিজ্ঞাপনের গল্পটি আমার ভাল লেগেছিল, কারণ এটার মূল ভাবনা ছিল একাত্মতা প্রকাশ । আমার ভাবতে খুব খারাপ লাগছে, এই বিজ্ঞাপনটা কোনওভাবে বিভেদ তৈরি করছে!কোনভাবেই সেটা আমার উদ্দেশ্য ছিলোনা। যারা এই বিজ্ঞাপনটি নিয়ে লিখছেন, কথা বলছেন, আর ভাল মন্দ যাই ভাবছেন-আমি আপনাদের জানাতে চাই, আমি আপনাদের কথা শুনছি, শিখছি আর আর পরিণত হচ্ছি ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!