Monday, December 23
Shadow

পাওলি কে নগ্ন করতেই সিনেমার গল্প : তসলিমা

পাওলি
পাওলি দাম

অভিনেত্রী পাওলি দাম আর নগ্নতা এখন সমার্থক! পাওলিকে দেখলেই তার কাপড় খোলাতে ইচ্ছে করে! অনেকে এমন মনে করেন যে, সিনেমায় নগ্ন হতে পারেন দাম! কিন্তু কেউ নগ্ন হতে পারলে তাকে নগ্ন করতে হবে! তাই পাওলি দামকে নগ্ন করার জন্য লেখা হয়েছে সিনেমার গল্প! ছত্রাক-এর স্মৃতি এখনও ফিকে হয়ে যায়নি। পাওলি দাম অভিনীত ছত্রাক-এর যৌনদৃশ্যের খোঁজ সেই সময় যে কত জন করেছিলেন তার সঠিক হিসেব হয়ত মেলেনি। তবে ওই খোঁজের পরে, অনেকের মোবাইল ফোনেও সেভ করা থাকত পাওলি দামের সেই যৌনদৃশ্য। কিন্তু ছত্রাক-এর ছোঁয়া পাওয়ার কয়েক বছর পর, বাংলা সিনেমায় এখন পাওলি দামের নগ্নতার মাধ্যমে পুরুষতন্ত্রকে আরও বেশি আঁকড়ে ধরা হচ্ছে! যার জেরে আধুনিক এবং মানবতন্ত্রে বিশ্বাসী হওয়ার পরিবর্তে মানুষ আরও বেশি প্রাচীনপন্থী হয়ে যাচ্ছে!

সাম্প্রতিক একটি বাংলা সিনেমাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন লজ্জার শিল্পী তসলিমা নাসরিন। একই সঙ্গে লেখিকার এমন আক্ষেপ যে, পথের পাঁচালির মতো সিনেমা করার পরিচালক হয়তো পশ্চিমবঙ্গে নেই। শুধুমাত্র তাই নয়। পথের পাঁচালির মতো সিনেমা করার জন্য পশ্চিমবঙ্গে কোনো পরিচালকের জন্ম-ও হবে না। এই প্রসঙ্গে লজ্জার শিল্পীর এমন যুক্তি যে, বাংলা সিনেমায় এখন দুরবস্থা চলছে। তাই এখনকার বাংলা সিনেমার গল্প এবং ডায়লগগুলি আজগুবি। যে কারণে, কয়েকজন পরিচালকের সিনেমা কিছুটা সময় দেখতে পারেন তসলিমা নাসরিন এবং ওই সব পরিচালকের বাইরে অন্য কেউ বাংলা সিনেমা বানাতে পারেন বলেও তিনি মনে করছেন না।

প্রসঙ্গ পাওলি : নগ্নতায় হিন্দির থেকে এগিয়ে কলকাতার বাংলা সিনেমা

তবে, লেখিকার অনুগামীরা যেমন ফেসবুকে তার বিস্ফোরক ওই মন্তব্যকে সমর্থন করছেন। তেমনই তার ওই মন্তব্যের জেরে ওই বাংলা সিনেমা এবং অভিনেত্রী পাওলি দামের প্রচার হয়ে গেল বলেও মনে করছেন। একই সঙ্গে কেউ কেউ এমনও বলছেন যে, বাংলা সিনেমায় নগ্নতা এলেই কেন এই ধরনের প্রশ্ন ওঠে? সাম্প্রতিক ওই বাংলা ছবির নাম ‘ক্ষত’। বৃষ্টি এলে পপকর্ন খেতে খেতে ছবিটি দেখতে তার মন্দ লাগে না বলে ফেসবুকে জানিয়েছেন তসলিমা নাসরিন। অথচ ক্ষত দেখতে গিয়েই ক্ষত-বিক্ষত হয়েছেন লজ্জার শিল্পী! আর তার জেরেই সোশাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তসলিমা নাসরিন।

তিনি বলেছেন, পাওলিদামকে দেখলেই কি ওর কাপড় খোলাতে ইচ্ছে করে চিত্র পরিচালকদের? এক সময় দেখতাম ছেলেরা তাদের মোবাইলে পাওলির একটা সেক্স দৃশ্য সেভ করে রাখছে। অনেককে বলতে শুনেছি, পাওলি উলঙ্গ হতে পারে ছবিটিতে। আচ্ছা, কেউ উলঙ্গ হতে পারলেই কি তাকে উলঙ্গ করতে হবে? ক্ষত দেখে মনে হয়েছে, পাওলির জন্য গল্পটা লেখা হয়েছে। উলঙ্গ করার জন্য। দিন দিন মানুষ আধুনিক হবে, মানবতন্ত্রে বিশ্বাসী হবে, তা নয়ত আরও বেশি প্রাচীনপন্থী হচ্ছে, আরও বেশি আঁকড়ে ধরছে পুরুষতন্ত্রকে। শিল্প-সাহিত্যের জগতে বড্ড বেশি মাথামোটা লোক ঢুকে গিয়েছে।

জয়া আহসান স্বাস্থ্য সচেতন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!