বিকাশ নিয়ে প্রতারণার হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে আধুনিক হয়েছে প্রতারকদের কৌশলও। এমন কয়েকটি প্রতারণা হলো
1. ভুল করে আপনার একাউন্টে টাকা চলে গেছে এমনটা বলে টাকা ফেরত চায় অনেকে। সরল মনে অনেকে তা আবার দিয়েও দেন। তাই এ ধরনের কল বা এসএমএস আসলে আগে নিজের বিকাশ একাউন্ট চেক করে নিন যে ভুল করে আদৌ কেউ টাকা পাঠিয়েছে কিনা। এ ধরনের ক্ষেত্রে সাধারণত এসএমএস আসে প্রতারকের পারসোনাল নম্বর থেকে।
2. হঠাৎ আপনার পরিচিত কেউ আপনাকে ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপে ইনবক্স করে বলল , আমার আরজেন্ট টাকার দরকার, এই নম্বরে একটু বিকাশ করে দিন। আগে ওই লোকটাকে ফোন করে কনফার্ম হয়ে নিন, সত্যিই তিনি আপনাকে মেসেজ পাঠিয়েছেন কিনা। যদি নম্বর বন্ধ পান, তবে খোলা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
3. উটকো একটা নম্বর থেকে ফোন করে বলবে, স্যার আমি বিকাশ থেকে বলছি, আপনার একাউন্ট হালনাগাদ করা হবে, কিছু তথ্য প্রয়োজন। সঙ্গে সঙ্গে লাইনটা কেটে দিয়ে ওই প্রতারকের নম্বরটি ‘Bkash Fraud” নামে সেভ করে রাখুন। আপনার ফোনে ট্রু কলার থাকলে অন্যরাও জেনে যাবে এই প্রতারকের নম্বর। কারণ বিকাশ থেকে কখনই এভাবে একাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে ফোন করা হয় না।
4. ফোন করে আপনাকে আপনার পরিচিত কারো নাম বলে বলতে পারে, “উনি একসিডেন্ট করেছেন। অমুক হাসপাতালে আছেন। ডাক্তাররা টাকার জন্য ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছেন না। আপনি দ্রুত েএই নম্বরে ৫০০ টাকা বিকাশ করে দিন।” টাকার অংক যতই কম হোক, বোকা হবেন না। আগে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার পরিচিত ওই লোক একসিডেন্ট করেছে কিনা।
5. ফেসবুকে সাহায্য চেয়ে ভুরি ভুরি পোস্ট দেখতে পাবেন। সরলমনে সব বিশ্বাস করতে যাবেন না বা ‘সাহায্য করার জন্য এখানে ক্লিক করুন’ টাইপ লিংকেও ক্লিক করবেন না। আগে ফোন করুন, তথ্য নিন যতটা সম্ভব। সাহায্য করতে চাইলে ব্যাংক একাউন্ট নম্বর নিন। প্রতারকরা সহজে ব্যাংক একাউন্ট নম্বর দিতে চাইবে না। আর সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক করে যদি আবার লগ-ইন পেইজ দেখতে পান, তবে সঙ্গে সঙ্গে সেটা বন্ধ করে দিন। ভুয়া লগ-ইন পেইজে ইউজার পাসওয়ার্ড দিয়েছেন তো হ্যাক হয়েছেন!
পরবর্তী টিপস পেতে চোখ রাখুন মাটি নিউজে। সংবাদটি শেয়ার করে সতর্ক করে দিন প্রিয়জনকে।