আমাকে আমার সিনেমার পরিচালকরা ব্ল্যাকমেইল করেছে। এখন আর সেই পরিচালকদের নাম বলে লাভ নেই। তাদের নাম বললে আমার সম্মান ফিরে আসবে না! তারা এখন নেই। তাদের হাতে কাজও নেই। যারা বলে আমার জন্য সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস হয়েছে তারাই আসলে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস করেছে।
এক টিভি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কথাগুলো বলছিলেন একসময়ের আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা মুনমুন।
মুনমুন বলেন, আমি অশ্লীল যুগে খুব বেশি সিনেমা করিনি। আমার এক চেটিয়া মার্কেট ছিল অ্যাকশন হিরোইন হিসেবে। অ্যাকশন নির্ভর ছবিতে প্রচুর মারপিটের দৃশ্য থাকতো, যেহেতু অ্যাশকন ছবি, এগুলোতে একটু খোলামেলা দৃশ্য অ্যাড করা হত, কিন্তু আমার কোনো খোলামেলা দৃশ্য ছিল না সেসব সিনেমায়। বাস্তবতা হলো অন্য নায়িকারা যে ড্রেস পরেছে আমিও সেই ড্রেস পরেছি।
মুনমুন বলেন, যারা আর্টিস্টের বিরুদ্ধে মিথ্যে কলঙ্ক দেয় তারা ফিল্মের কোনো ভালো করতে পারে না। কোন সিনেমায় আমি অশ্লীল ছিলাম তার প্রমাণ দিতে পারবেন না। অশ্লীল সিনেমায় তখন সবাই অভিনয় করেছে। কিন্তু অশ্লীল দৃশ্যে তো তারা অভিনয় করেনি।
২০০২ থেকে ২০০৬ সিনেমায় ছিলেন না মুনমুন। এই সময় বেশি অশ্লীল সিনেমা হয়েছে। এমনই দাবি করেছেন তিনি। ২০০৮ এ অভিনয়ে ফিরে ‘বাংলার কিংকং’ ও ‘কুমারি মা’ এই দুটি সিনেমা করে আবারও ফিরে যান তিনি।
বর্তমানে আবারও সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। ‘দুই রাজ কন্যা’, ‘রাগি’, ‘তোলপাড়’, ‘পাগল প্রেমি ‘, ‘পদ্মার প্রেম’ এমন বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন এরই মধ্যে।
শাকিব খানের সঙ্গেও প্রায় ১৪টি সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন এই নায়িকা। সেই সময়ের কথা মনে করে মুনমুন বলেন,আগের শাকিব ও এখনকার শাকিবের মধ্যে পার্থক্য অনেক। আমি শাকিব খানকে সেই সময়ই বলেছিলাম, তোমার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তুমি আরও সুন্দর হবা। শাকিবের সঙ্গে একবার দেখাও হয়েছিল, দেখি সে এই কথা এখনও মনে রেখেছে।
শাকিব খানের প্রথম ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র ‘বিষে ভরা নাগিন’ এ নায়িকা ছিলেন মুনমুন। এ প্রসঙ্গে মুনমুন বলেন, শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে ১৪টি সিনেমায় কাজ করেছি। এগুলোর মধ্যে ‘নাগিন সিরিজের তিনটি ছবি ছিল সুপার বাম্পার হিট।