যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে ১৩টি দেশের মুসলিম নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ট্রাম্প প্রশাসন। ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের কিছু দিন পর এক নির্বাহী আদেশ জারি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন নির্বাচনের কিছু দিন আগে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন।
ওই সময় এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, ক্ষমতায় এলে হোয়াইট হাউসে তার প্রথম দিনই হবে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম নিষেধাজ্ঞার শেষ দিন। জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় এ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এখন বাইডেন প্রশাসন চাইলে খুবই সহজেই নির্বাহী আদেশে ওই সিদ্ধান্ত উল্টো দিতে পারে। তবে কনজারভেটিভ পার্টি এ নিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হলে নিষেধাজ্ঞা বাতিলের প্রক্রিয়ায় কিছুটা বিলম্ব হতে পারে।
গত মাসেই বিদ্বেষমূলক অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলেন বাইডেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি আপনাদের অবদানকে সম্মান জানাতে এবং সমাজ থেকে ঘৃণার বিষয় উপড়ে ফেলতে আমি আপনাদের সঙ্গে কাজ করবো। আমার প্রশাসন প্রতিটি স্তরেই মুসলিম আমেরিকানদের অবদান দেখতে চাইবে। হোয়াইট হাউসে প্রথম দিনই আমি ট্রাম্পের অসাংবিধানিক মুসলিম নিষেধাজ্ঞার পরিসমাপ্তি ঘটাব।
এদিকে জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনি আমেরিকার জনগণকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, ‘আমেরিকার মানুষ জবাব দিয়েছে। তারা আমাদের পরিষ্কার বিজয় এনে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি (৭ কোটি ৫০ লাখ) ভোট পেয়ে আমরা জয়ী হয়েছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেওয়া প্রথম ভাষণে ঐক্যের ডাক দিয়ে জো বাইডেন বলেন, ‘আমি সবার সঙ্গে কোয়ালিশনের জন্য গর্ববোধ করছি। বৈচিত্রপূর্ণভাবে কোয়ালিশন করে আমরা একসঙ্গে ইতিহাস সৃষ্টি করেছি। এখানে আমি বুঝাতে বলতে চাচ্ছি, ডেমোক্র্যাটস, রিপাবলিকান, স্বতন্ত্র, প্রগতিশীল, মধ্যপন্থী, রক্ষণশীল, তরুণ, প্রবীণ, শহুরে, শহরতলির, গ্রামীণ, সমকামী, সরাসরি, হিজড়া, সাদা, ল্যাটিনো, এশীয় ও স্থানীয় আমেরিকানদের।’
প্রসঙ্গত, ৪৬তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ের পর জো বাইডেন বিজয়ী হয়েছেন। তিনি এরই মধ্যে ২৯০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে ট্রাম্পকে হারান। পপুলার ভোটও বেশি পেয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেন।