সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ‘ক্রিমিনাল’ বলে মন্তব্য করলেন নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী ইয়েমেনের সক্রিয় মানবাধিকারকর্মী তাওয়াক্কুল কারমান। ইয়েমেনের চলমান গৃহযুদ্ধের জন্যও তিনিসৌদি যুবরাজ কে দায়ী করেন এবং ইয়েমেনকে ধ্বংস করার অভিযোগ করেন।
সৌদি জোটের নেতৃত্বে ইয়েমেনে যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে তাতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন বন্ধে গত বৃহস্পতিবার কংগ্রেসে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। কিন্তু হোয়াইট হাউস ইঙ্গিত দিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিনিধি পরিষদে পাস হওয়া ওই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো দিতে পারেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রেসিডেন্ট আবদ রাব্বু মানসুর হাদির সরকারের সঙ্গে সৌদি আরব ও আমিরাত সামরিক জোটের ঘনিষ্ঠতা আছে। হাদি ২০১৫ সাল থেকে হুথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধ করছেন।
দাতব্য সংস্থাগুলোর আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী, ইয়েমেন যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৬০ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। শিশুদের নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন বলছে, যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষের কারণে দেশটির প্রায় ৮৫ হাজার শিশু না খেতে পেয়ে মারা গেছে।
নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী ইয়েমেনের সক্রিয় মানবাধিকারকর্মী তাওয়াক্কুল কারমান বলেছেন, ইয়েমেনের এই যুদ্ধ বন্ধ করার ক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের আছে।
তিনি ট্রাম্পের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি তাকে ইয়েমেন যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। কিন্তু তিনি এটা করবেন না। তিনি এর চেয়ে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি করা নিয়ে বেশি ব্যস্ত।’
ধারণা করা হয়, সৌদি আরবের ডি-ফ্যাক্টো নেতা যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বেই ইয়েমেনে যুদ্ধ চলছে। আল জাজিরা যখন তাওয়াক্কুল কারমানকে প্রশ্ন করে যে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উদ্দেশে তার কিছু বলার আছে কি না তখন কারমান উত্তর দেন, তিনি বিশ্বাস করে সালমান একজন ‘ক্রিমিনাল’।
তাওয়াক্কুল কারমান আরও বলেন, ‘আমি সৌদি যুবরাজ সালমানের কাছ থেকে কিছুই জানতে চাই না কারণ সে আমার দেশটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মোহামম্মদ বিন সালমান ও আবু ধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদের বিচার করা উচিত কেননা তারা আমার দেশে যা করছে সেটা যুদ্ধাপরাধ।’