class="post-template-default single single-post postid-10824 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

আপনি যখন সঙ্গীর চেয়ে সফল

কর্মক্ষেত্রে উপরে উঠার সুযোগ এলে তা তো আর হেলায় হারানো চলে না! কিন্তু তা যদি আপনার সঙ্গীর অর্জনকেও ম্লান করে দেয়? কিছু কিছু পুরুষ কর্মক্ষেত্রে তাদের সঙ্গীর বড় অর্জনকে সহজভাবেই মেনে নেওয়ার মানসিকতা রাখেন; কিন্তু সবাই তা পারেন না, মানসিক অনিরাপত্তা তাদের কুরে কুরে খায়। যদি আপনার সঙ্গীও তেমনই হন তবে আপনার করণীয় কী?

যোগাযোগের দুয়ার খোলা রাখুন
যোগাযোগ হলো আমাদের মনের সদর দরজার মতো। কারো মনের অলিগলি ঘুরে দেখতে হলে আগে যোগাযোগটা প্রয়োজন, যেখানে আবেগ-অনুভূতি, কর্মক্ষেত্রের কথা, ব্যক্তিগত দোটানা প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা করি আমরা। যোগাযোগে ঘাটতি পড়ে গেলে যে-কোনো সম্পর্কেই চিড় ধরতে শুরু করে। আর আপনার সঙ্গী যদি হয় আপনার চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম সফল, তবে তো কোনো কথাই নেই। মানসিক অনিরপত্তা তিলে তিলে মেরে ফেলবে আপনার সঙ্গীর ভেতরটা, তাও আপনার মনের অজান্তেই। তাই এমন সমস্যা এড়াতে চাইলে যোগাযোগ বাড়ান। সেটা হতে পারে ডিনারের টেবিলে কিংবা রাতে শোবার আগে। সকালে স্নিগ্ধ চায়ের কাপে হলেও মন্দ হয় না।

 

আপনি সফল মানেই তিনি ব্যর্থ নন
মনে রাখবেন, আপনার সাফল্যের মানে তার ব্যর্থতা নয় মোটেও। হতে পারে তার পছন্দের কাজটি করতে পেরে তিনি বেশ খুশিই আছেন এবং ধীরে ধীরে সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে উঠছেন। এমন পরিস্থিতিতে দুজনের মধ্যে তুলনা নিয়ে আসাটা সম্পর্কের জন্য কখনোই সুফল বয়ে আনবে না। যদি আপনি আপনার সঙ্গীকে সারাক্ষণ বোঝাতে ব্যস্ত থাকেন যে আপনি তার চেয়ে ভালো অবস্থানে আছেন, তবে সাবধান! আপনি নিজ হাতে আপনার সুন্দর সম্পর্কটার গলা টিপে ধরছেন! আপনার সঙ্গী যদি পূর্বে মানসিক অনিরাপত্তায় ভুগে নাও থাকতেন তবে আপনার এমন আচরণ তাকে নিশ্চিতভাবে সে পরিস্থিতির দিকে পা বাড়াতে বাধ্য করবে।

সংসার, কর্মক্ষেত্র একসাথে গুলিয়ে ফেলবেন না
ঘরের সব সিদ্ধান্তে আপনার সঙ্গীর সমান অংশগ্রহণের ব্যাপারটি নিশ্চিত করুন। কেননা সংসারটা সমানভাবে তারও। আর তাই শুধু আপনি ভালো জানেন বলে তার সিদ্ধান্ত এবং চিন্তাগুলোকে ছোট করে দেখা থেকে বিরত থাকুন। কর্মক্ষেত্রের ব্যাপারগুলো যাই হোক না কেন, নিজ ঘরের ভেতর আপনার দুজনের গুরুত্ব সমান। তাই এখানে সব কিছুই ফিফটি-ফিফটি হওয়ার বিকল্প নেই।

আর্থিক বিষয়াদি
আপনি পছন্দ করুন আর না করুন আর্থিক ব্যাপার কখনো কখনো গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিতে পারে আপনাদের প্রাত্যহিক জীবনে। আপনি আপনার কর্মক্ষেত্রে বেশি সফল বলে সংসারে বেশি আর্থিক অবদান রাখতে পারছেন। এবং এটা হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনার সঙ্গীর অবদানও ভুলে গেলে চলবে না। যদি অগত্যা আর্থিক ব্যাপার ঝামেলা হয়ে দাঁড়ায়ই তবে মনোযোগ দিয়ে তার অভিমত শুনুন এবং নিজের বক্তব্যও তার সামনে যুক্তিসংগতভাবে তুলে ধরুন। পরিশেষে এ দু’য়ের মিশেলে একটা উপসংহার টানার চেষ্টা করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!