Monday, December 23
Shadow

এইচআইভি সম্পর্কে প্রচলিত কিছু ভুল ধারণা

সমগ্র বিশ্বজুড়ে ১ ডিসেম্বর পালন করা হয় বিশ্ব এইচআইভি দিবস। বিশ্ব জুড়ে এর এতো প্রচার সত্ত্বেও আজও এইডস নিয়ে মানুষের মনে রয়েছে অজানা ভয়। যে ভয়ের জন্ম হয়েছে কিছু ভ্রান্ত ভুল ধারণা থেকে । চলুন জেনে নেই এমনই কিছু ভ্রান্ত ধারণা এইচআইভি সম্পর্কে।

HIVএইচআইভি পজিটিভ হলেই ধরে নেয়া হয় যে তার মৃত্যু অবাধারিত:

কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন যে আধুনিক চিকিৎসা ও সাবধানতার মাধ্যমে মৃত্যু এড়ানো সম্ভব।

কারও এইচআইভি ইনফেকশন রয়েছে কিনা তার মুখ দেখে বোঝা যায়:

এইচআইভি ইনফেকশনের সাধারণত কোনও লক্ষণ থাকে না। তাই মুখ দেখে বোঝা যাওয়ার সম্ভাবনা একদম থাকে না।

এইচআইভি সংক্রমণ নিয়ে হেটরোসেক্সুয়ালদের চিন্তার প্রয়োজন নেই:

আমরা জানি যে সমকামীদের মধ্যেই এইচআইভি সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি থাকে। কিন্তু সারা বিশ্বে এইচআইভি আক্রান্তদের ৭৮ শতাংশ সমকামী ও ২৪ শতাংশ হেটরোসেক্সুয়াল। তাই শুধু যে সমকামীরাই আক্রান্ত হতে পারে এই ধারণা একেবারেই ভুল।

এইচআইভি পজিটিভদের সুস্থ সন্তান জন্মদেয়া সম্ভব নয়:

যদিও কোন চিকিৎসক এমন কোনও গ্যারান্টি দিতে পারেন না সন্তানের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াবে না। কিন্তু চিকিৎসকরা এও বলছেন যে এইচআইভি পজিটিভরাও সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে পারেন।

এইচআইভি পজিটিভ হলেই এইডস হবে:

এইচআইভি ইনফেকশন থেকে এইডস হয় এই কথা ঠিকই। কিন্তু এর কোনও ভিত্তি নেই যে এইচআইভি পজিটিভ হলেই এইডস হবে।

 

বলা হয় যে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে এইচআইভি পজিটিভ কোনও বড় সমস্যা নয়:

চিকিৎসকরা বলছেন যে, এই সকল ভুল ধারণার ফলে বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে অসুরক্ষিত যৌন মিলনের প্রবণতা বেড়ে চলেছে। যার ফলে এইচআইভি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে বেশি করে।

পিআরইপি নিলে আর কন্ডোম ব্যবহারের প্রয়োজন নেই:

প্রি এক্সপোজার প্রফিলেক্সিস এক ধরনের মেডিকেশন যা এইচআইভি ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়াকে বাঁধা দিতে পারে। তবে পিআরইপি মিলনের সময় এইচআইভি সংক্রমণকে বাঁধা দিতে পারে এমন কোনও প্রমাণ বিজ্ঞানীরা পাননি।

এইচআইভি টেস্ট নেগেটিভ এলে কন্ডোম ব্যবহারের প্রয়োজন নেই:

সদ্য এইচআইভি-তে আক্রান্ত হলে পরীক্ষায় তা ধরা পড়ে না। অন্তত তিন মাস লাগে এটা ধরা পড়তে। তাই এইচআইভি নেগেটিভ মানেই কন্ডোম ব্যবহারের প্রয়োজন নেই তার কোনও ভিত্তি নেই।

দুজন পার্টনারের এইচআইভি যদি পজিটিভ হয় তা হলে কন্ডোম ব্যবহারের প্রয়োজন নেই:

সকল এইচআইভি স্ট্রেইন এক রকম হয় না। এক সঙ্গে একাধিক স্ট্রেইনে আক্রান্ত হলে জটিলতা বাড়ে। যা সুপারইনফেকশন নামে পরিচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!