class="post-template-default single single-post postid-21010 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

কম খরচে সেট-আপ করুন চোখধাঁধানো অ্যাকোয়ারিয়াম

অ্যাকোরিয়াম

বাড়িতে অ্যাকোয়ারিয়াম করার একাধিক সুবিধা। আপনার বসার ঘরের সৌন্দর্য্য দ্বিগুণ সুন্দর করে তুলবে অ্যাকোরিয়াম। সুপ্রভাব পাবেন আপনার স্বাস্থ্যেও। চিকিত্সকদের মতে, ঘরে অ্যাকোয়ারিয়াম থাকলে তা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তার সঙ্গে কমে দুশ্চিন্তা, মনযোগের অভাবের মতো সমস্যা। বাস্তু মতে, বাড়ির বসার ঘরে অ্যাকোয়ারিয়াম বাড়ির কর্তার পক্ষে বেশ শুভ।

অ্যাকোরিয়াম সেট-আপ করা খুব কঠিন কিছু না। সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চললেই বাড়িতে কম খরচেই সেট আপ করতে পারবেন অ্যাকোয়ারিয়াম। তবে অ্যাকোয়ারিয়ামের দোকানে যাওয়ার আগে জেনে নেওয়া প্রয়োজন কিছু তথ্য।

কি করে সেটআপ ও মেনটেন করবেন আপনার প্রথম অ্যাকোয়ারিয়াম ?

১) প্রথমে ঠিক করুন আপনার বাড়িতে অ্যাকোয়ারিয়ামের জন্য জায়গা কতটা। সেই অনুযায়ী যতটা বড় সম্ভব অ্যাকোয়ারিয়াম কিনুন। মাথায় রাখবেন, বেশি ছোট অ্যাকোয়ারিয়ামে মাছ করা অপেক্ষাকৃত কঠিন। প্রথমবার অ্যাকোয়ারিয়াম করতে গেলে ২x১x১ ফুটের কমে না করাই ভালো। বোল নৈব নৈব চ।

২) কোনও শক্তপোক্ত টেবিলে থার্মোকলের উপরে অ্যাকোয়ারিয়াম বসাবেন। সরাসরি রোদ আসে এমন কোথাও অ্যাকোয়ারিয়াম রাখবেন না।

৩) মাছ সুস্থভাবে বাঁচতে গেলে জলে পর্যাপ্ত অক্সিজেন প্রয়োজন। তাই অ্যাকোয়ারিয়ামের আকার অনুযায়ী ফিল্টার লাগান।

৪) মাছ নির্বাচন করার আগে ইন্টারনেটে সেই মাছের কি রকম যত্ন প্রয়োজন জানার চেষ্টা করুন। পূর্ণবয়স্ক মাছটির নূন্যতম কতটা জল প্রয়োজন তা জানার চেষ্টা করুন। কোন কোন মাছ একসঙ্গে রাখা যাবে তার জন্য Fish Compatibility চার্ট পেয়ে যাবেন গুগলেই। কিছু সহজ মাছ হল- সোর্ড টেল, মলি, গাপ্পি, ক্রোকোডাইল(প্লেকো), রেড আই টেট্রা, টাইগার বার্ব ইত্যাদি। ৩-৪ ফুটের থেকে ছোট অ্যাকোয়ারিয়ামে গোল্ডফিশ, সার্ক জাতীয় মাছ না করাই ভাল। শুরুতেই বেশি কঠিন প্রজাতির মাছ এড়িয়ে চলুন। অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পেলেই তবেই করুন ডিসকাস-এর মতো স্পর্শকাতর মাছ।

৫) আপনার অ্যাকোয়ারিয়ামের সাইজ অনুযায়ী গুগল-এ দেখে নিন আপনার পছন্দের মাছ কতগুলি রাখা যাবে। মাছের সংখ্যা রাখুন কমের দিকে। ফাঁকা দেখতে লাগলেও নোংরা কম হবে। মাছও সাঁতার কাটার অনেক জায়গা পাবে।

৬) অ্যাকোয়ারিয়াম সাজাতে ব্যবহার করুন ন্যাচারাল রঙের ছোট নুড়ি বা বালি। রঙিন পাথর থেকে জলে রাসায়নিক বিক্রিয়া হতে পারে। মাছের স্ট্রেসও বাড়তে পারে রঙিন পাথরে।

৭) প্লাস্টিকের গাছ দিয়ে না সাজানোই ভাল। কম দামি প্লাস্টিকের কারণে ক্ষতি হতে পারে মাছের। আপনার মাছ যদি গাছ না খায় তা হলে ব্যবহার করুন জ্যান্ত গাছ। তবে সে ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত আলো অবশ্যই দেবেন। কিছু সহজ গাছের নাম আমাজন সোর্ড, কাবোম্বা, স্যাজিটিরিয়া, লিলি, ক্রিপ্টোকোরিন ইত্যাদি।

৮) অ্যাকোয়ারিয়াম সেটআপ করেই অনেক মাছ ছেড়ে দেবেন না। অ্যাকোয়ারিয়ামের উপকারি ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে তবেই একটা-দুটো করে মাছ ছাড়ুন। গুগল-এ Fish Tank Cycle বলে সার্চ করলেই এ ব্যাপারে জানতে পারবেন।

৯) ভরসা রাখুন বিভিন্ন মাছের ফোরামে। দোকানে অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে ভুল মাছ বা তথ্য নিয়ে ঠকবেন না। বিশ্বস্ত দোকান থেকেই মাছ কিনুন।

১০) ভাল মানের শুকনো খাবার অল্প পরিমাণে দেবেন। মনে রাখবেন, কম খাবারের থেকে বেশি খাবার খেয়েই মাছের মরার সম্ভাবনা বেশি।

১১) প্রতি সপ্তাহে একদিন আধ ঘন্টা সময় দিন রক্ষণাবেক্ষণে। মাছ থাকা অবস্থাতেই পাইপ দিয়ে অর্ধেক জল ফেলে দিন। কাঁচ পরিষ্কার করুন নরম স্পঞ্জ দিয়ে। তার পর আবার জল ভরুন। পুরো সেটআপ তুলে পরিষ্কার করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

১২) প্রয়োজন না হলে জলে অযথা কোনও ওষুধ বা কেমিক্যাল দেবেন না। এতে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য নষ্ট হয়।

১২) অ্যাকোরিয়াম একটি কৃত্রিম বাস্তুতন্ত্র। তাই খালি শুধু মাত্র সাজানোর লক্ষ্যে অ্যকোয়ারিয়াম না করাই ভাল। অ্যাকোয়ারিয়ামের বাসিন্দাদের যত্ন নিতে পারলে তবেই এগোন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!