class="post-template-default single single-post postid-908 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

কীভাবে বাঁচবেন মশার আক্রমণ থেকে?

কীভাবে বাঁচবেন মশার আক্রমণ থেকে?

খেয়াল করে দেখবেন অনেককেই স্বাভাবিকের থেকে বেশি মাত্রায় মশা কামড়ায়। যেখানে বাকিদের দুটা কামড়ায়, সেখানে একই জায়গায় বসে অনেকের “ধিনা ধিন ধা” করতে থাকেন মশার কামড় খেয়ে। কিন্তু কেন কাউকে বেশি মাত্রায় মশা কামড়ায়, আর কাউকে কম, কেন জানা আছে?

একই প্রশ্নের  উত্তর আমরা অনেকে জানি, যাদের রক্ত মিষ্টি, তাদের কামড় খেতে হয় বেশি। কিন্তু বাস্তবে এই কারণের জন্য কিন্তু পুরো ঘটনা ঘটে না। ঘটে একটা অন্য কারণে। কী কারণে? সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যাদের শরীরে ডোপামাইন লেভেল বেশি থাকে, তাদের মশার কামড় খেতে হয় বেশি করে। কারণ ছোট্ট এই প্রাণীটি নানাভাবে এই রাসায়নিকটি দ্বারা এত মাত্রায় প্রভাবিত হয়ে পরে যে দলে দলে আক্রমণ শানাতে শুরু করে। আর একবার একটি মশা ডোপামাইনের স্বাদ পেয়ে গেলে সে তার বাকি বন্ধুদেরও সে কথা জানাতে শুরু করে। ফলে বেশি মাত্রায় কামড় খাওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে।

তবে এখানেই শেষ নয়। ভার্জিনিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং স্টেট ইউনির্ভাসিটি-এর গবেষকদের করা এই গবেষণায় দেখা গেছে যাদের শরীর থেকে সুন্দর গন্ধ বেরয়, তাদেরও স্বাভাবিকের থেকে বেশি মাত্রায় মশা কামড়ে থাকে। আর এখন তো সবায়ই নিত্য-নতুন পার্ফিউম ব্যবহার করে থাকেন। ফলে কম-বেশি সবাইকেই মশার কামড় খেতে হয়। তাই তো সবাইকেই সাবধান থাকতে হবে। না হলে কিন্তু ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে জায়গা নিতে হবে। এখন প্রশ্ন হল কীভাবে বাঁচবেন মশার আক্রমণ থেকে?

গবেষণা যেমনটা বলছে মশার নাকে মানুষের গায়ের গন্ধ পৌঁছায় খুব দ্রুত গতিতে। তাই তো এমন কিছু খাবার খেতে হবে, যাতে গায়ের গন্ধ যায় বাদলে। আর এমনটা যখনই হবে, তখনই দেখবেন মশা শরীরের আগে-পিছু ভন ভন করা বন্ধ করে দেবে।

যে যে খাবার খেলে শরীরের ভেতরে কেমিকালের ক্ষরণ বদলে যাওয়ার কারণে মশার আক্রমণ কমে, সেই খাবারগুলি হল.

১. রসুন এবং পেঁয়াজ:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত রসুন এবং পেঁয়াজ খাওয়া শুরু করলে শরীরের ভেতরে অ্যালিসিন নামক একটি উপাদানের মাত্রা বাড়াতে শুরু করে। এই উপাদানটি ঘামের মাধ্যমে যখন শরীরের বাইরে বেরিয়ে আসে, তখন মশাদের এত জ্বালাতনে ফেলে দেয় যে তারা শরীরের ধারে কাছে আসতে পারে না। তাই আপনি যদি তাদের মধ্যে একজন হন, যাদেরকে মারাত্মকভাবে মশা কামড়ায়, তাহলে ভুলেও রোজের ডায়েটে থেকে রসুন এবং পেঁয়াজকে বাদ দেওয়া উচিত নয়।

২. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার:

গায়ের গন্ধের চরিত্রকে বদলে দিয়ে মশাদের দূরে রাখতে এই প্রকৃতিক উপাদানটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো মাশার থেকে দূরে থাকতে নিয়মিত এক গ্লাস পানি পরিমাণ মতো অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন। এক গ্লাস পানিতে অ্যাপেল সিডার ভিনিগারের সঙ্গে অল্প পরিমাণে মধু মিশিয়ে খেলে আরও উপকার পাওয়া যায়।

৩. লঙ্কা:

এই সবজিটি কেন ঝাল খেতে জানেন? কারণ লঙ্কার মধ্যে ক্যাপসিসিন নামক একটি উপাদান থাকে, যা লঙ্কার স্বাদের পিছনে দায়ি। এই উপাদানটির মাত্রা শরীরে বাড়তে শুরু করলে গা থেকে এমন গন্ধ বেরতে শুরু থাকে যে তার প্রভাবে শুধু মশা নয়, ছোট-বড় কোনও পোকা-মাকড়ই ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগ পায় না। তাই যখনই দেখবেন আশেপাশে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে, কখনই বেশি করে লঙ্কা খাওয়া শুরু করবেন। এমনটা করলেই দেখবেন আরামসে সুস্থ থাকতে পারছেন।

৪. টমাটো:

শুনতে অবাক লাগলেও একথা একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়ে গেছে যে, এই সবজিটির ভেতরে থাকা ভিটামিন বি১, মশাদের দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ শরীরে ভিটামিন বি১ এর মাত্রা বাড়তে শুরু করলে গায়ের গন্ধে পরিবর্তন আসে। আর সেই গন্ধ মশাদের একেবারেই আকৃষ্ট করে না। ফলে ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গুর মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।

৫. মৌসম্বি লেবু:

এই ফলটির ভেতরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই দুটি উপাদানের মাত্রা শরীরে বাড়তে শুরু করলে শরীরের ভেতরে এমন পরিবর্তন হতে থাকে যে ঘামের গন্ধেও পরিবর্তন আসে। আর এমনটা হলে যে স্বাভাবিকভাবেই মশা-মাকড় ধারে কাছে আসতে পারে না, তা বলাই বাহুল্য!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!