Monday, December 23
Shadow

ক্যাম্পাসেই অবাধ যৌনতা , অথচ কন্ডোমের ব্যবহারই জানে না ছাত্রীরা!

পুঁথিগত জ্ঞান আছে তবে বাস্তবের মাটিতে একেবারে ডাহা ফেল! সেক্স এডুকেশনে প্র্যাকটিকাল ক্লাসে ‘কন্ডোম শিক্ষা’য় শিক্ষিত হলেও হং কং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিংহভাগ ছাত্রীরা জানেই না কন্ডোম ধারণের পদ্ধতি। সম্প্রতি একটি কারিগরি প্রশিক্ষণের আয়োজন করে হং কং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে প্রত্যেক ছাত্রীর হাতে একটি করে কন্ডোম দিয়ে সেটির ‘সঠিক ব্যবহার’ করতে বলা হয়। আর এই ‘কন্ডোম টেস্ট’-এ বেশিরভাগ ছাত্রীরাই পাস নম্বর তুলতে পারেনি। ‘ডিলডো’ (নকল পুরুষাঙ্গ) তে কন্ডোম পরাতে গিয়ে প্রায় নাকানিচোবানি খেয়েছেন স্নাতকের ছাত্রীরা।

হং কং বিশ্ববিদ্যালয়ে কন্ডোম টেস্টের অন্যতম আয়োজক লিং জি ইয়ানের কথায়, “বেশির ভাগ ছাত্রীরাই জানেন না, কীভাবে কন্ডোম ব্যবহার করতে হয়।” কিন্তু এমন একটি বিষয়ে কেন পুরোপুরি দিশাহীন পড়ুয়ারা? লিং জি ইয়ানের মতে, এর জন্য দায়ী সঠিক প্রশিক্ষণের অভাব। স্কুলেও সঠিক ভাবে সেক্স এডুকেশন পড়ান হয় না বলে অভিযোগ করেছেন এই ছাত্রী। নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে তিনি বললেন, “আমি ক্যাথোলিক গার্লস স্কুলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছি। সেখানে রক্ষণশীল মনোভাবের কারণেই সেক্স এডুকেশনের প্রতি অনীহা তৈরি হয়েছে।” একই সঙ্গে তিনি জানান, “বাস্তবিক ক্ষেত্রে আমাদের সবসময়ই মেয়াদ উত্তীর্ণ কন্ডোম দেওয়া হত, যার ফলে আদত ব্যাপারটা ধরতে মুশকিল হচ্ছে।”

এই প্রশিক্ষণের অন্যতম উদ্যোক্তা চান চাক-চিং জানালেন আরও ভয়ানক পরিস্থিতির কথা। চান চাক-চিং বলেন, “অনেকেই মনে করেন একসঙ্গে ২টি কন্ডোম ব্যবহার করাই সুরক্ষিত পদ্ধতি। সচেতনতার অভাবে অনেকেই যৌন রোগে আক্রান্তও হচ্ছেন।”

উল্লেখ্য, হং কং বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কন্ডোম টেস্টের আগে এইডস নিয়ে কাজ করা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গবেষণা চালিয়েছিল। সেই গবেষণা জানায়, হং কং-এর ১১২টি বিশ্ব বিদ্যালয়ের ৪০ শতাংশ পড়ুয়াই ক্যাম্পাসে সেক্স করেন এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে যৌনতা নিয়ে ভুল ধরণা রয়েছে পড়ুয়াদের। সমাজবিজ্ঞানীদের অনেকেই মনে করেন, হং কং-এর মত দেশে সেক্স এডুকেশনকে অতি আবশ্যক করা প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!