উদ্বেগ, মানসিক চাপ ও হতাশার কারণে খাওয়ার ইচ্ছা চলে যেতে পারে। এটা সাময়িক হলেও এর ফলে নানান অসুবিধা হতে পারে।
তাই ক্ষুধামান্দ্য কাটাতে প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্য নেওয়া যেতেই পারে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে ক্ষুধামান্দ্য দূর করার কয়েকটি পন্থা এখানে দেওয়া হল।
গোলমরিচ
বহুদিন ধরেই হজম ও ক্ষুধা বাড়াতে গোলমরিচ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পাকস্থলীর আরাম ও গ্যাসের সমস্যা দূর করতে এটা ভালো কাজ করে। গোলমরিচ স্বাদ-ইন্দ্রিয়কে উদ্দীপ্ত করে এবং পাকস্থলীর অ্যাসিড নিঃসরণ করে হজমে সাহায্য করে।
পদ্ধতি: এক চা-চামচ গুড়ে আধা চা-চামচ গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে কয়েকদিন খেলে উপকার মিলবে।
আদা
বিভিন্ন রকমের রান্না ও ঔষধি গুণের জন্য আদা বেশ পরিচিত। এটা ক্ষুধা বাড়ায় এবং হজমে সাহায্য করে। তাছাড়া আদা পেট-ব্যথা উপশমেও সাহায্য করে।
পদ্ধতি: আধা চা-চামচ আদার রস এবং এক চিমটি ‘রক সল্ট’ মেশান। খাবারের এক ঘণ্টা আগে ১০ দিন এই মিশ্রণ পান করুন। চাইলে আদার চা খেতে পারেন।
আমলকী
ক্ষুধামান্দ্য এবং গ্যাসজনিত সমস্যা দূর করতে আমলকী বেশ কার্যকর। এটা হজমে সাহায্য করে এবং যকৃত পরিশোধন করে। আমলকী ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ব্যবহার: দুই চা-চামচ আমলকী ও লেবুর রস এক কাপ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
এলাচ
পাচক রস নিঃসরণ বাড়িয়ে ক্ষুধা বাড়াতে সহায়তা করে।
পদ্ধতি: খাবারের আগে দু-তিনটি এলাচ চিবিয়ে খান। অথবা প্রতিদিন চা পান করার সময় তাতে এলাচ-গুঁড়া মিশিয়ে নিতে পারেন।