class="post-template-default single single-post postid-831 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

গরম ভাতে একটু খানি ঘি..

গরম ভাতে একটু খানি ঘি..

গরম ভাতে ঘি মেখে খেতে আমাদের অনেকেরেই পছন্দ। কিন্তু কিছু কিছু চিকিৎসক নিয়মিত ঘি খেতে না করেন। কিন্তু গবেষকরা বলছেন অন্য কথা। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ঘি খাওয়ার সঙ্গে শরীর খারাপ হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। বরং মস্তিষ্ক থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরে একাধিক অঙ্গের সচলতা বৃদ্ধিতে ঘি-এর কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।

১. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:

খাবার হজম করতে সহায়ক নানাবিধ স্টমাক অ্যাসিডের ক্ষরণ বাড়াতে ঘি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বল হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। এখানেই শেষ নয়, প্রখ্যাত সেলিব্রিটি নিউট্রিশনিস্ট রুজুতা দিওয়াকার তার লেখা একাধিক বইয়ে ঘির উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিযে বলেছেন, খিচুড়ি বা পুরান পলির মতো খাবার ঠিক মতো হজম করাতে এই সবের সঙ্গে ঘি খাওয়া প্রয়োজন। কারণ ঘি যে কোনও ধরনের রিচ খাবারকে সহজে হজম করিয়ে দিতে সক্ষম।

২. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে:

নিয়মিত ঘি খেলে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে কোনও ধরনের সংক্রমণই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

৩. ব্রেন টনিক হিসেবে কাজ করে:

নিউট্রিশনিস্টদের মতে নার্ভের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সার্বিকবাবে ব্রেন শক্তি উন্নতিতে ঘি-এর কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এতে উপস্থিত ওমাগা- ৬ এবং ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীর এবং মস্তিষ্ককে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।  সম্প্রতি প্রকাশিত বেশ কিছু গবেষমায় দেখা গেছে এই দুই ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড ডিমেনশিয়া এবং অ্যালঝাইমারসের মতো রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৪. ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে:

ঘিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে উপস্থিত ফ্রি রেডিকালদের ক্ষতি করার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। ফলে কোষের বিন্যাসে পরিবর্তন হয়ে ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।  আমাদের দেশে অনেকেই ঘি সহযোগে রান্না করে থাকেন। এই অভ্যাসও কিন্তু খারাপ নয়। কারণ ঘি-এর “স্মোকিং পয়েন্ট” খুব হাই। ফলে বেশি তাপমাত্রায় রান্না করলেও কোনও ক্ষতি হয় না।

৫.হার্টের খেয়াল রাখে:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ঘিয়ে উপস্থিত একাধিক উপকারি ফ্যাট শরীরে প্রবেশ করার পর খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোনও ধরনের হার্টের রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!