class="post-template-default single single-post postid-14284 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

জেনে নিন চেনা কর্পূরের ৭ অজানা ব্যবহার

চোখ বন্ধ করেও কর্পূরের গন্ধ চেনা যায়। সাধারণত পুজো-পাঠ আর খাবারের সুগন্ধ বাড়াতে যে কর্পূরের (ভোজ্য) ব্যবহার করা হয়, এ কথা আমরা প্রায় সকলেই জানি। বাজারে দু’ ধরণের কর্পূর পাওয়া যায়। একটি কর্পূর গুল্ম থেকে আর অন্যটি কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে অতি প্রাচীন কাল থেকেই বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে এসেনশিয়াল অয়েল হিসেবেও কর্পূরের ব্যবহার হয়ে আসছে। আজ চেনা কর্পূরের এমন অনেক অচেনা ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

১) পিঁপড়ে দূর করতে: আপনার ঘরে যদি পিঁপড়ের উপদ্রব বাড়ে তাহলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য বাজার চলতি কীটনাশক অনেকেই ব্যবহার করেন। কিন্তু এর ক্ষতিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বাড়ির শিশু ও বয়ষ্কদের জন্য মারাত্মক হতে পারে। তাই ক্ষতিকর কীটনাশকের পরিবর্তে জলের সঙ্গে কর্পূর মিশিয়ে ঘরের কোনায় কোনায় ছড়িয়ে দিন। ঘন্ধে পিঁপড়েরা ঘর ছেড়ে পালাবে।

২) ছারপোকা তাড়াতে: ছারপোকা তাড়াতে কর্পূর অত্যন্ত কার্যকরী। ছারপোকার সমস্যা থেকে মুক্ত পেতে বিছানার চাদর ধুয়ে তোষক, ম্যাট্রেস রোদে দিন। এর পর একটি বড় কর্পূরের টুকরো কাপড়ে মুড়ে বিছানা ও ম্যাট্রেসের মাঝামাঝি রেখে দিন। এতে বিছানা ছারপোকার উপদ্রব মুক্ত হবে।

৩) ত্বকের সমস্যায়: আপনার যদি ত্বকে চুলকানি ও র‍্যাশের সমস্যা হয়, তাহলে এক্ষেত্রে কর্পূর অত্যন্ত কার্যকরী। এক টুকরো ভোজ্য কর্পূর নিন এবং সামান্য জলের সঙ্গে মেশান। আক্রান্ত স্থানটিতে এই দ্রবণ দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুলকানি ও র‍্যাশের সমস্যা কমে যাবে। কিন্তু কখনওই কাটা বা ক্ষত স্থানে কর্পূর ব্যবহার করবেন না। কারণ কর্পূর রক্তের সঙ্গে মিশে গেলে শরীরে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে।

৪) মশা তাড়াতে: কর্পূরের ট্যাবলেট ঘরের কোনায় কোনায় ছড়িয়ে দিন। এটি শুধু মশাই তাড়াবে না, কাজ করবে রুম ফ্রেশনারেরও।

৫) শিশুর ঠান্ডা লাগলে: শিশুর বুকে কফ জমে গেলে, সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে গেলে সেই সমস্যা কাটাতে সাহায্য করে কর্পূর। সরষের তেল বা নারিকেল তেলের সঙ্গে সামান্য কৃত্রিম কর্পূর মিশিয়ে সামান্য গরম করে নিন। উষ্ণ অবস্থায় এই তেলের মিশ্রণটি শিশুর বুকে ও পিঠে মালিশ করুন। দ্রুত সমস্যা কমে যাবে।

৬) ব্রণ ও ব্রণর দাগ নিরাময়ে: কয়েক ফোঁটা কর্পূর এসেনশিয়াল অয়েল অন্য কোনও তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্রণ আক্রান্ত ত্বকে মালিশ করলে ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর হয়। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল, নারকেল তেল বা আমন্ড তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করবেন। উপকার পাবেন।

৭) চুল ঝরা রোধে ও খুশকির সমস্যা দূর করতে: নিয়মিত মাথায় যে তেল ব্যবহার করেন তার সঙ্গে কর্পূর এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুল ঝরার পরিমাণ কমে যায়। চুলে শ্যাম্পু করার আগে এই তেলের মিশ্রণ মাথার তালুতে ও চুলে মাখলে এটি খুশকির সমস্যা কমাতেও সাহায্য করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!