ডায়াবেটিস মানেই যে সব শেষ তা নয়। অন্তত খাবারে লাগাম টানার তো প্রশ্নই আসে না। কারণ এর জন্য আছে কিছু যোদ্ধা খাবার। দেখুন সেই খাবারের তালিকা।
বাদাম
বাদাম আছে হরেক রকমের। ডায়াবেটিস আক্রান্তরা বাদাম খেতে পারেন পরিমাণমতো। এতে আছে উপকারী চর্বি। যেগুলো আপনার রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আর কাঠবাদামের আছে আরো অনেক গুণ।
তেল ও কুমড়ার বীজ
বীজের ভেতর সুপ্ত থাকে আস্ত গাছ। আর তাই বীজ মানেই পুষ্টির ভাণ্ডার। বিশেষ করে সূর্যমুখী আর মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে বেশ স্বাস্থ্যগুণ। দুটোতেই পাবেন ওমেগা-৩ ও আয়রন। সূর্যমুখীর চেয়ে অনেকের মতে মিষ্টি কুমড়ার বীজে ভিটামিন বেশি থাকে। আর এটাও পারে আপনার গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে।
মাছ
প্রোটিনের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর উৎস হলো মাছ। আর ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মুরগি বা গরুর চেয়ে মাছের প্রোটিনটাই কাজে আসে বেশি। তবে এেেত্র তেলে ভাজার চেয়ে গ্রিল করা মাছই বেশি পুষ্টিকর।
ব্রকোলি
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য যদি একটি মাত্র সবজি বাছাই করতে বলা হয়, তবে সেটা হবে ব্রকোলি। এর বিশেষ উপাদান প্রাকৃতিকভাবেই ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে শরীরকে ঠিক রাখে। এমনকি হদরোগ থেকেও বাঁচায়। সারাদিনের ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করতে একটি ব্রকোলিই যথেষ্ট!
কেইল
সবুজ একটি সবজি। সচরাচর দেখা যায় না এই কেইল। তবে এটাই কিনা পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিকর সবজি! টাইপ-১ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস এর এ দুটো ধরনের েেত্রই রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে কেইল।
আভোকাডো
এক জরিপে দেখা গেছে যারা নিয়মিত আভোকাডো ফলটি খেয়েছেন তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা কমেছে ২৫ শতাংশ।
টক দই
এটাও উৎকৃষ্ট খাবার। তবে বেশি বেশি নয়।
চিনি ছাড়া চা
চায়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের অনেক কিছুই ঠিকঠাক রাখে। নিয়মিত গ্রিন টি খেলে ডায়াবেটিসের সাইড এফেক্টগুলো থেকে মুক্তি পাবেন।
নানা জাতের শিম
শিম বলতে যে সবজির ছবি আসে, সেটা নয়। নানা ধরনের বিন তথা শিম জাতীয় সবজির বীজ পাওয়া যায় বাজারে। এর মধ্যে কিডনি বিন আর কালো মটর উল্লেখযোগ্য। ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়তে চাই বেশি বেশি ফাইবার। বিনে যার অভাব নেই। আবার প্রোটিনেরও ভাল উৎস এটি।
তিসির বীজ ও রসুন
দুটোই সুপারফুডের তালিকায় আছে। এর মধ্যে রসুনের গুণের কথা সর্বজনবিদিত। কোলেস্টেরল, উচ্চরক্তচাপ থেকে শুরু করে ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায় এই মশলাটি।
পুঁই ও পালং
ডায়াবেটিস হলে সবুজ মানেই উপকারী। আর পুঁই-পালং শাক হলে তো কথাই নেই। লেটুসের চেয়েও বেশি পুষ্টি এগুলোয়।
ডার্ক চকোলেট
এও সম্ভব! হুম, যদি চকোলেটটি হয় চিনিমুক্ত। তিতকুটে এ চকোলেট কমাতে পারে ইনসুলিন রেজিসট্যান্স। আবার কমিয়ে দিতে পারে অতিরিক্ত ক্ষুধার ভাবটাও।
দারুচিনি ও ডায়াবেটিস
অনেক গবেষণাতেই দেখা গেছে দারুচিনি শরীরের চিনির মাত্রা কমাতে সহায়ক।
অলিভ অয়েল
ডায়াবেটিস নিয়ে বেশিদিন বাঁচতে ও স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে চাইলে রান্নার তেলে রাখুন অলিভ অয়েল।
মিষ্টি আলু
আলু এমনিতে ডায়াবেটিস রোগীরা এড়িয়েই চলেন। তবে পরিমিত মাত্রার মিষ্টি আলু কিন্তু উপকারই করবে। এটিও চকোলেটের মতো ইনসুলিম রেজিস্ট্যান্স কমায়, নিয়ন্ত্রণে রাখে কোলেস্টেরল। তবে মিষ্টি আলুর এ উপকার পেতে এটাকে বেইক করেই খেতেই হবে।