class="post-template-default single single-post postid-895 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

পেয়ার‍া খাবেন, আগে জেনেনি উপকারগুলো

পেয়ারা খাবেন, আগে জেনেনি উপকারগুলো

কয়েক টুকরো পেয়েরা, তার উপরে এক চিমটে লবণ অথবা  মশলার গুড়ো…উফফ! কি দারুন স্বাদ তাই না! কিন্তু হলে কী হবে, অনেকেই পেয়ারা দেখলেই দূরে পালায়। কারণ কী? সেটা যদিও অজানা। সম্প্রতি একটি গবেষণায় পেয়ারার নানা অজানা দিক সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছিলেন একদল বিজ্ঞানী। সেই রিসার্চটি চলাকালীন দেখা গেছে শীত হোক কী বর্ষা, শরীর সুস্থ রাখতে পেয়ারার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যাতে কম করে ৯০ বছর পর্যন্ত ঠিক মতো কাজ করতে পারে, সেদিকেও নজর রাখে এই প্রকৃতিক উপাদানটি। পেয়ারার উপস্থিত ভিটামিন সি, লাইকোপেন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি অংশকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম, শরীর যাতে খাবারে উপস্থিত নানাবিধ পুষ্টিকর উপাদান ঠিক মতো গ্রহণ করতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখে। এখানেই শেষ নয়, শরীরকে চাঙ্গা রাখতে আরও নানাভাবে সাহায্য করে থাকে পেয়ারা।

যেমন ধরুন…

১. ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে:

নিয়মিত একটি করে পেয়ারা খাওয়া শুরু করলে হজম ক্ষমতার এত মাত্রায় উন্নতি ঘটে যে, শরীরে মেদ জমার আশঙ্কাই থাকে না। সেই সঙ্গে দেহের ভেতরে ফাইবারের মাত্রা বাড়ার কারণে ক্ষিদেও কমে। ফলে ক্যালরির প্রবেশ কম হওয়ার কারণে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা হ্রাস পায়।

২. শরীরিক উন্নতি ঘটায়:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে পেয়ারার ভেতরে থাকা ফলিক অ্যাসিড মায়ের শরীরে প্রবেশ করে বাচ্চার নার্ভাস সিস্টেমের উন্নতি ঘটায়। সেই সঙ্গে কগনিটিভ ফাংশানের উন্নতি ঘটাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো গর্ভাবস্থায় নিয়মিত একটি করে পেয়ারা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় গর্ভবতী মায়েদের।

৩. স্ট্রেস কমায়:

গত কয়েক দশকে আমাদের দেশের পাশাপাশি সমগ্র বিশ্বে যে রোগগুলির প্রকোপ চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পেয়েছে, সেগুলির প্রায় সবকটির সঙ্গেই মানসিক চাপ বা স্ট্রেসের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই সময় থাকতে থাকতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়াটা জরুরি। না হলে কিন্তু…! এক্ষেত্রে পেয়ারা আপনাকে দারুনভাবে সাহায্য করতে পারে। আসলে এতে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম নার্ভের চাপ কমানোর মধ্যে দিয়ে স্ট্রেস কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৪. কনস্টিপেশনের চিকিৎসায় কাজে লাগে:

শরীরে ফাইবারের মাত্রা বাড়তে থাকলে পেটের রোগ যেমন কমে, তেমনি কনস্টিপেশনের মতো সমস্যাও দূরে পালায়। আর ফলেদের দুনিয়ায় পেয়ারায় মধ্যেই রয়েছে সবথেকে বেশি মাত্রায় ফাইবার। তাই প্রতিদিন সকালে প্রকৃতির ডাকে সারা দেওয়ার সময় যদি বেজায় কষ্ট পোয়াতে হয়, তাহলে আজ থেকেই পেয়ারাকে রোজের সঙ্গী বানান। দেখবেন কষ্ট একেবারে কমে যাবে।

৫. দাঁতের ব্যথা কমায়:

এবার থেকে হাল্কা হোক কী বেশি, দাঁতের ব্যথা হলেই অল্প করে পেয়ারা পাতা নিয়ে চিবতো শুরু করে দিন। দেখবেন অল্প সময়ের মধ্যেই কষ্ট কমে যাবে। কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটির ভেতরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা শরীরের ভেতরের যে কোনও ধরনের যন্ত্রণা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।  পেয়ারা পাতার ভেতরে থাকা বেশ কিছু উপাদান মুখ গহ্বরে বাসা বেঁধে থাকা একাধিক ক্ষতিকর জীবাণুদের মেরে পেলে। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা কমে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!