class="post-template-default single single-post postid-11003 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

বোতলের জলে দেহে নিত্য ঢুকছে প্লাস্টিক

বাতাসে প্লাস্টিক, খাবারে, জলেও। আর সেই প্লাস্টিক কণাই প্রতিদিন মানুষের ভিতরে ঢুকে বিষিয়ে দিচ্ছে শরীর। এত দিন পরিবেশের উপরে প্লাস্টিক দূষণের প্রভাব নিয়ে চিন্তায় ছিলেন বিজ্ঞানীরা। নয়া এক গবেষণায় এ বার উঠে এল, জল, খাবার ও শ্বাসবায়ু বাহিত হয়ে মানুষের দেহে নিত্য ঢুকছে প্লাস্টিক। যা অনেক সময়ে আটকে থাকছে শরীরের ভিতরেই। মানব-বর্জ্যেও মিলেছে প্লাস্টিকের নমুনা।

গবেষকরা জানাচ্ছেন, নুন থেকে মধু, চিনি থেকে বিয়ার, কীটনাশক, বোতলবন্দি জল বা কলের জল— দৈনন্দিন জীবনে মানুষকে যা যা ব্যবহার করতে হয়, তার কোনওটিই প্লাস্টিকমুক্ত নয়। এমনকি ঘরের ভিতরে ভেসে বেড়ানো ধূলিকণাতেও মিশে রয়েছে প্লাস্টিক। যা শরীরে প্রবেশ করে তৈরি হতে পারে বিষাক্ত রাসায়নিক। এই নিয়েই সম্প্রতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ভিয়েনার এক দল গবেষক। তাঁদেরই এক জন বলছেন, ‘‘আমাদের বহু দিন ধরেই আশঙ্কা ছিল, প্লাস্টিক শরীরে ঢুকলে শেষমেশ তা অন্ত্র পর্যম্ত পৌঁছে যেতে পারে। অতি ক্ষুদ্র প্লাস্টিকের কণা মিশে যেতে পারে রক্ত প্রবাহের সঙ্গেও। যা যকৃতেও পৌঁছে যেতে পারে। মাইক্রোপ্লাস্টিক যে মানুষের শরীরে ঢুকছে তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। কারণ, মানুষের বর্জ্যেই তার নমুনা মিলেছে। এ বার দেখতে হবে, শরীরের উপরে এর সম্ভাব্য প্রভাব কী হতে পারে।’’ গবেষকণায় অংশগ্রহণকারীদের বর্জ্যের নমুনা পরীক্ষা করে কয়েকশো মাইক্রো প্লাস্টিকের টুকরো মিলেছে। সবচেয়ে বেশি মাত্রায় পাওয়া গিয়েছে যে দু’ধরনের প্লাস্টিক কণা যেগুলি মূলত খাবার ও পানীয়ের মোড়কে পাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!