ডা. রুশদানা রহমান তমার পরামর্শ : মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকালের সমস্যা, কারণ ও প্রতিকার
বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েলি সমস্যা দেখা দেবে, এটাই স্বাভাবিক। আর মাসিক শুরু হওয়ার পর থেকে ২০ বছর বয়সের মধ্যে মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তস্রাবের সমস্যাকেই সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালের অতিরিক্ত রক্তস্রাব বলে। এ সময় মাসিক পরিমাণে অতিরিক্ত বা তুলনামূলকভাবে বেশি দিন বা অনিয়মিত হতে পারে।
কারণ : এ সময়টাতে মেয়েদের মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস ও পিটুইটারি গ্রন্থি এবং ডিম্বথলির মধ্যে যে সম্পর্ক তা পরিপকস্ফ হয় না। এটি পরিপকস্ফ হতে এক-দুই বছর সময় লাগে। তাই এ সময় মাসিকের চক্রগুলোতে ডিম্বস্ফুটন হয় না। ফলে ওভারি বা ডিম্বাশয় থেকে বাড়তি ইস্ট্রোজেন নামক হরমোন নিঃসৃত হয়, যা জরায়ুর ওপর মাত্রাধিক কাজ করে রক্তস্রাবের পরিমাণ ও সময় বাড়িয়ে দেয়। শতকরা ৯৫ ভাগ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রক্তস্রাবের এটাই কারণ। এ ছাড়া হরমোনের সমস্যা, রক্ত জমাট বাঁধার জন্মগত সমস্যা, জরায়ুতে যক্ষ্মারোগের সমস্যা থেকে অথবা অন্যান্য কারণেও হতে পারে।
প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা : রক্তের হিমোগ্গ্নোবিন, হরমোন পরীক্ষা, বুকের এক্স-রে ইত্যাদি পরীক্ষার দরকার হতে পারে।
চিকিৎসা : এ ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং রক্তবর্ধক কিছু ওষুধ সেবনই যথেষ্ট। খুব বেশি রক্তস্রাবের ক্ষেত্রে প্রজেস্টেরন হরমোন খাবার বড়ি হিসেবে চক্রাকারে ২১ দিন দেওয়া যেতে পারে। এতে সাত দিনের মধ্যেই রক্তস্রাব কমে যায়। দুই-তিন কোর্স প্রজেস্টেরন সেবনের পর সাধারণত মাসিক নিয়মিত হয়ে যায়। কয়েক কোর্স জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িও এ ক্ষেত্রে কার্যকর। হিমগ্গ্নোবিন পরীক্ষায় যদি বোঝা যায় যে, রক্তপাত বেশি হয়েছে তাহলে অনেক সময় রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। বয়ঃসন্ধিকালের
ডা. রুশদানা রহমান তমা
গাইনি অনকোলজি, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল